বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’

ছবি- স্কুলশিক্ষক নজরুল ইসলাম ও তার লেখা চিরকুট।

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় নজরুল ইসলাম নামের এক স্কুলশিক্ষক বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার পরিধান করা কাপড়ের মধ্যে পেঁচানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’। নিহত স্কুলশিক্ষক নজরুল আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খাঁনের ছেলে।

গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নজরুল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেড় বছর আগে আমতলীর হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকার দুলাল ভূঁইয়ার মেয়ে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ লেগেই থাকত। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে শনিবার সকালে স্ত্রী খাদিজা বেগম তার বাবার বাড়ি চলে যান। কারণ হিসেবে তিনি তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনকে বলে যান রাতে তার স্বামী নজরুল তাকে মারধর করেছেন। ওই দিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নজরুল ইসলামকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে আমতলী থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’ লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত শিক্ষক নজরুল ইসলামের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুতে আমরা এখন শোকাহত। কথা বলার কোনো ভাষা নেই। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আমার ভাইকে পাওয়া গেছে। স্ত্রীর অত্যাচারের কারণে আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে, এমন একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় নজরুল ইসলাম নামের এক স্কুলশিক্ষক বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার পরিধান করা কাপড়ের মধ্যে পেঁচানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’। নিহত স্কুলশিক্ষক নজরুল আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খাঁনের ছেলে।

গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নজরুল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেড় বছর আগে আমতলীর হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকার দুলাল ভূঁইয়ার মেয়ে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ লেগেই থাকত। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে শনিবার সকালে স্ত্রী খাদিজা বেগম তার বাবার বাড়ি চলে যান। কারণ হিসেবে তিনি তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনকে বলে যান রাতে তার স্বামী নজরুল তাকে মারধর করেছেন। ওই দিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নজরুল ইসলামকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে আমতলী থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’ লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত শিক্ষক নজরুল ইসলামের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুতে আমরা এখন শোকাহত। কথা বলার কোনো ভাষা নেই। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আমার ভাইকে পাওয়া গেছে। স্ত্রীর অত্যাচারের কারণে আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে, এমন একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।