মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় আদালত চত্বরে হেনস্তার শিকার হিরো আলম

বগুড়ায় আদালত চত্বরে হেনস্তার শিকার হয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে৷

এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করে হিরো আলম জানান, তারেক রহমানকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ তুলে দলটির নেতাকর্মীরা তাকে কান ধরে ওঠবস এবং বেধড়ক মারধর করেছেন। এ সময় সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এর আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপির লোকজন কীভাবে আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করল সেটি আপনারা ভিডিওতে দেখবেন। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই আমাদের ওপর পাওয়ার দেখালো, তারা ক্ষমতায় এলে দিনের বেলায় মানুষকে জবাই করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, ২০২৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়েছি, এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করব; কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়নি। বিএনপির লোকজন আজকে যে হামলা করল তাতে কি মনে করেন দেশ স্বাধীন হয়েছে?’
হিরো আলম বলেন, ‘আজ আমাকে বিএনপির লোকজন মারধর করল। তারা বলতেছে যে আমি তারেক জিয়ার নামে কিছু বলছি। কেউ যদি ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন আমি হিরো আলম তারেক জিয়াকে বকা দিছি, গালি দিছি…তাহলে আমি পুরো বগুড়া শহর জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরব।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। আপনারা ফুটেজ দেখেছেন। যারা মেরেছে তাদের চেহারা দেখেছি। আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
ক্ষমতায় আসার আগে বিএনপি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম মৃত্যুকে ভয় করি না; পারলে মেরে ফেলেন। একজন হিরো আলম মরলে শত হিরো আলমের জন্ম হবে। লোকজনকে বলি, কাকে আপনারা ক্ষমতায় আনতে চান? বিএনপির লোকজন ক্ষমতায় না আসতেই তাদের পাওয়ার বেড়ে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই তাদের লোকজন আমাকে মারধর শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির লোকজন এখনই ভাববেন না আপনারা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। মারধরের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে। যারা মারধর করেছেন, তাদের একজনও বাঁচতে পারবে না। আমি হিরো আলম মারা যাব, কিন্তু মাথানত করব না।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন, বিএনপির লোকজন আজকে আমার ওপর হামলা করেছে। একটা স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি; আরেকটা স্বৈরাচার আসছে। এটি তার প্রমাণ। তারা বলছে, আমি নাকি তারেক রহমানের নামে কিছু বলেছি। আপনারা ফুটেজ দেখিয়ে তারপর মারধর করেন।’

নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক নন দাবি করে এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘আজ আমি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের লোক হলে বিএনপির লোকজনের কথা বলতাম। ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করতে আসতাম না। ওবায়দুল কাদের, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম তানসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রানাসহ মোট ৩৯ জনের নামে মামলা করেছি। আমি কী বিএনপির লোকের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি? আপনাদের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি; অথচ আজ আপনারা আমাকে মারধর করলেন। তাতে কী বোঝা যাচ্ছে? আপনার দেশ ক্ষমতায় নেই, তারপরও এমন দাপট দেখাচ্ছেন? দেশ ক্ষমতায় আসলে আপনারা আরও কী করবেন?’
সারা দেশের মানুষের কাছে দাবি করেছেন হিরো আলম।
জনপ্রিয়

দরিদ্র মানুষের ন্যায় ও আস্হার ঠিকানা ঠাকুরগাঁওয়ের লিগ্যাল এইড 

বগুড়ায় আদালত চত্বরে হেনস্তার শিকার হিরো আলম

প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বগুড়ায় আদালত চত্বরে হেনস্তার শিকার হয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে৷

এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করে হিরো আলম জানান, তারেক রহমানকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ তুলে দলটির নেতাকর্মীরা তাকে কান ধরে ওঠবস এবং বেধড়ক মারধর করেছেন। এ সময় সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এর আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপির লোকজন কীভাবে আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করল সেটি আপনারা ভিডিওতে দেখবেন। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই আমাদের ওপর পাওয়ার দেখালো, তারা ক্ষমতায় এলে দিনের বেলায় মানুষকে জবাই করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, ২০২৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়েছি, এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করব; কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়নি। বিএনপির লোকজন আজকে যে হামলা করল তাতে কি মনে করেন দেশ স্বাধীন হয়েছে?’
হিরো আলম বলেন, ‘আজ আমাকে বিএনপির লোকজন মারধর করল। তারা বলতেছে যে আমি তারেক জিয়ার নামে কিছু বলছি। কেউ যদি ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন আমি হিরো আলম তারেক জিয়াকে বকা দিছি, গালি দিছি…তাহলে আমি পুরো বগুড়া শহর জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরব।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। আপনারা ফুটেজ দেখেছেন। যারা মেরেছে তাদের চেহারা দেখেছি। আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
ক্ষমতায় আসার আগে বিএনপি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম মৃত্যুকে ভয় করি না; পারলে মেরে ফেলেন। একজন হিরো আলম মরলে শত হিরো আলমের জন্ম হবে। লোকজনকে বলি, কাকে আপনারা ক্ষমতায় আনতে চান? বিএনপির লোকজন ক্ষমতায় না আসতেই তাদের পাওয়ার বেড়ে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই তাদের লোকজন আমাকে মারধর শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির লোকজন এখনই ভাববেন না আপনারা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। মারধরের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে। যারা মারধর করেছেন, তাদের একজনও বাঁচতে পারবে না। আমি হিরো আলম মারা যাব, কিন্তু মাথানত করব না।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন, বিএনপির লোকজন আজকে আমার ওপর হামলা করেছে। একটা স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি; আরেকটা স্বৈরাচার আসছে। এটি তার প্রমাণ। তারা বলছে, আমি নাকি তারেক রহমানের নামে কিছু বলেছি। আপনারা ফুটেজ দেখিয়ে তারপর মারধর করেন।’

নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক নন দাবি করে এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘আজ আমি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের লোক হলে বিএনপির লোকজনের কথা বলতাম। ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করতে আসতাম না। ওবায়দুল কাদের, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম তানসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রানাসহ মোট ৩৯ জনের নামে মামলা করেছি। আমি কী বিএনপির লোকের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি? আপনাদের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি; অথচ আজ আপনারা আমাকে মারধর করলেন। তাতে কী বোঝা যাচ্ছে? আপনার দেশ ক্ষমতায় নেই, তারপরও এমন দাপট দেখাচ্ছেন? দেশ ক্ষমতায় আসলে আপনারা আরও কী করবেন?’
সারা দেশের মানুষের কাছে দাবি করেছেন হিরো আলম।