সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলের অন্তত এক ডজন জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইরান

ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলার জবাবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় দখলদার ইসরাইলের অন্তত এক ডজন জাহাজে তেহরান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শনিবার রাজধানী তেহরানে আইআরজিসির খাতামুল আম্বিয়া সদরদপ্তর পরিদর্শন করতে গেলে জেনারেল সালামি একথা জানান।

সালামি বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ইসরাইল আমাদের ১৪টি তেল ট্যাংকারে হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে কারা এ হামলা চালাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারিনি। কারণ, তারা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এসব হামলা চালাচ্ছিলো। অবশেষে আমরা বুঝতে পারি, এর পেছনে রয়েছে দখলদার ইসরাইল এবং এরপর আমরা তাদের ১২টি জাহাজে হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, যখন আমরা তাদের পঞ্চম জাহাজটিতে হামলা চালাই, তখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে তাদের হামলা বন্ধ করে এবং জাহাজ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়।তবে ইসরাইলের ওই  জাহাজগুলোতে কবে হামলা চালানো হয়েছিলো সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

এসময় যুক্তরাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে আইআরজিসি কমান্ডার বলেন, ব্রিটিশ সরকার জিব্রাল্টার প্রণালীতে আমাদের একটি তেল ট্যাংকার আটক করলে, জবাবে আমরা তাদের স্টেনা ইম্পেরো জাহাজ আটক করি। এর ফলে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। তেহরানভিত্তিক পার্সটুডে বলছে, ২০১৯ সালে হরমুজ প্রণালীতে ওই ব্রিটিশ জাহাজটি আটক করেছিলো ইরান।

জেনারেল সালামি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে গ্রিস থেকে আমাদের দুটি জাহাজ আটক করে। জবাবে আমরাও তাদের দুটি জাহাজ আটক করি। পরে তারাও শত্রুরা আগ্রাসী তৎপরতার সামনে নমনীয়তা দেখালে তারা পেয়ে বসে উল্লেখ করে ইরানের এই সেনা কমান্ডার বলেন, কিন্তু পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তারা হাত গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়। এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।

চলমান এ গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে এই সেনা কমান্ডার বলেছিলেন, ইরান এবং আইআরজিসি সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে। ইসরাইলের পতন না হওয়া পর্যন্ত আইআরজিসি ফিলিস্তিনের নিপীড়িত নাগরিকদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে।

জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

ইসরাইলের অন্তত এক ডজন জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইরান

প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলার জবাবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় দখলদার ইসরাইলের অন্তত এক ডজন জাহাজে তেহরান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শনিবার রাজধানী তেহরানে আইআরজিসির খাতামুল আম্বিয়া সদরদপ্তর পরিদর্শন করতে গেলে জেনারেল সালামি একথা জানান।

সালামি বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ইসরাইল আমাদের ১৪টি তেল ট্যাংকারে হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে কারা এ হামলা চালাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারিনি। কারণ, তারা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এসব হামলা চালাচ্ছিলো। অবশেষে আমরা বুঝতে পারি, এর পেছনে রয়েছে দখলদার ইসরাইল এবং এরপর আমরা তাদের ১২টি জাহাজে হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, যখন আমরা তাদের পঞ্চম জাহাজটিতে হামলা চালাই, তখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে তাদের হামলা বন্ধ করে এবং জাহাজ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়।তবে ইসরাইলের ওই  জাহাজগুলোতে কবে হামলা চালানো হয়েছিলো সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

এসময় যুক্তরাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে আইআরজিসি কমান্ডার বলেন, ব্রিটিশ সরকার জিব্রাল্টার প্রণালীতে আমাদের একটি তেল ট্যাংকার আটক করলে, জবাবে আমরা তাদের স্টেনা ইম্পেরো জাহাজ আটক করি। এর ফলে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। তেহরানভিত্তিক পার্সটুডে বলছে, ২০১৯ সালে হরমুজ প্রণালীতে ওই ব্রিটিশ জাহাজটি আটক করেছিলো ইরান।

জেনারেল সালামি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে গ্রিস থেকে আমাদের দুটি জাহাজ আটক করে। জবাবে আমরাও তাদের দুটি জাহাজ আটক করি। পরে তারাও শত্রুরা আগ্রাসী তৎপরতার সামনে নমনীয়তা দেখালে তারা পেয়ে বসে উল্লেখ করে ইরানের এই সেনা কমান্ডার বলেন, কিন্তু পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তারা হাত গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়। এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।

চলমান এ গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে এই সেনা কমান্ডার বলেছিলেন, ইরান এবং আইআরজিসি সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে। ইসরাইলের পতন না হওয়া পর্যন্ত আইআরজিসি ফিলিস্তিনের নিপীড়িত নাগরিকদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে।