বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিনের ৭৫তম জন্মদিন আজ

ছবি-সংগৃহীত

আজ বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন। ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার অন্তর্গত মেঘনা নদীর পাড়ে আলগী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

শাহাবুদ্দিন আহমেদ ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। ফ্রান্স সরকারের বৃত্তি নিয়ে বিখ্যাত ইকোল দে বোজার্ট চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছেন।

তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মাত্র ২১ বছর বয়সে প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে ঢাকা শহর এবং দেশের অন্যান্য স্থানে সম্মুখ ও গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা এ দুই অনুষঙ্গই তার চিত্রকার্যের প্রধান উপাদান। তার সঙ্গে ইউরোপীয় চিত্রকলার ঐতিহ্যের মিশ্রণ তার চিত্রকর্মকে করে তুলেছে ভিন্নধর্মী। শিল্পের মিথস্ক্রিয়ার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গতিশীল, পেশিবহুল সাহস ও শক্তিমাত্রা মিলিয়ে অতিমানবীয় পুরুষের ছবির অনুরণন তার ক্যানভাসে।

বরেণ্য এই চিত্রশিল্পী ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ শিশুচিত্র শিল্পী হিসেবে ‘প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক’, ১৯৭৩ সালে শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী হিসেবে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ ও ১৯৭৫ সালে ফ্রান্সের সেলোন দো প্রিন্টক্যাম্প স্বর্ণপদক পান।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিনের ৭৫তম জন্মদিন আজ

প্রকাশের সময় : ১০:০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন। ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার অন্তর্গত মেঘনা নদীর পাড়ে আলগী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

শাহাবুদ্দিন আহমেদ ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। ফ্রান্স সরকারের বৃত্তি নিয়ে বিখ্যাত ইকোল দে বোজার্ট চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছেন।

তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মাত্র ২১ বছর বয়সে প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে ঢাকা শহর এবং দেশের অন্যান্য স্থানে সম্মুখ ও গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা এ দুই অনুষঙ্গই তার চিত্রকার্যের প্রধান উপাদান। তার সঙ্গে ইউরোপীয় চিত্রকলার ঐতিহ্যের মিশ্রণ তার চিত্রকর্মকে করে তুলেছে ভিন্নধর্মী। শিল্পের মিথস্ক্রিয়ার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গতিশীল, পেশিবহুল সাহস ও শক্তিমাত্রা মিলিয়ে অতিমানবীয় পুরুষের ছবির অনুরণন তার ক্যানভাসে।

বরেণ্য এই চিত্রশিল্পী ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ শিশুচিত্র শিল্পী হিসেবে ‘প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক’, ১৯৭৩ সালে শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী হিসেবে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ ও ১৯৭৫ সালে ফ্রান্সের সেলোন দো প্রিন্টক্যাম্প স্বর্ণপদক পান।