শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায়

প্রতীকী ছবি

যেকোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হতে পারে, এমনকি তা জটিল হলেও। আপনি যে ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন তার নানাভাবে সংযুক্ত থাকাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একে অন্যের রুটিনের অংশ হয়ে যায়। কিন্তু যখন সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তখন সেখান থেকে বের হতে হয় নিজেকে বাঁচানোর প্রয়োজনেই। এ ধরনের পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে মানসিক ক্ষেত্রেও। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায়-

১. দূরত্ব বজায় রাখুন: যদি আপনার পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়, তাহলে এমন অবস্থানে চলে যান যেখানে নিজেকে কিছুটা সময় দিতে পারবেন সবকিছু বিবেচনা করার। বিরক্তিকর মানুষটির সঙ্গে আপাতত দূরত্ব তৈরি করা এবং তাকে কল বা টেক্সট করা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এতে নিজেকে সময় দিতে পারবেন। নয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকবে।

২. ভুল করবেন না: অপরপক্ষের মানুষটির সম্পর্কে ভুল ভাবনা বন্ধ করুন। তাকে কি আপনি সত্যিই আপনার জীবনে রাখতে চান? নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন। আপনাকে আপনার অনুভূতির মূল্যায়ন করতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ সম্পর্কে নিজেকে বোঝাতে হবে। একবার নিজের অনুভূতি স্বীকার করলে, পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।

৩. লিমিট রাখুন: আপনার সব সময় এমন সীমানা তৈরি করা উচিত যা অপরপক্ষ কখনোই অতিক্রম করবে না। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে যেখানে আঘাতের সম্ভাবনা বেশি। সীমানা নির্ধারণ করলে তা আপনাকে যেকোনো বিপত্তি থেকে সহজেই পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাদ দিন: আপনি যদি এখনও তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বা স্ন্যাপ দেখে থাকেন তবে আপনি কখনোই তাকে অতিক্রম করতে পারবেন না। একবার আপনি আপনার মন তৈরি করে নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করুন এবং দূরত্ব তৈরি করা শুরু করুন। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাকে বাদ দেওয়া। এটি একটি স্পষ্ট চিহ্ন যে আপনি আর আগ্রহী নন এবং যোগাযোগ করতে চান না।

৫. আপনার সিদ্ধান্তে লেগে থাকুন: কোনো সম্পর্ক ছেড়ে গেলেও সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করা ছোট ছোট জিনিস বা মুহূর্তগুলি মনে রাখা স্বাভাবিক। তার সম্পর্কে চিন্তা করা স্বাভাবিক, তবে তাদের কাছে ফিরে যাওয়া নয়। আপনার সিদ্ধান্তে লেগে থাকুন এবং দুর্বল মুহূর্তে তার কাছে পৌঁছাবেন না।

হাসিনা-রেহানা-জয়সহ ৩৮৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায়

প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যেকোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হতে পারে, এমনকি তা জটিল হলেও। আপনি যে ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন তার নানাভাবে সংযুক্ত থাকাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একে অন্যের রুটিনের অংশ হয়ে যায়। কিন্তু যখন সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তখন সেখান থেকে বের হতে হয় নিজেকে বাঁচানোর প্রয়োজনেই। এ ধরনের পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে মানসিক ক্ষেত্রেও। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায়-

১. দূরত্ব বজায় রাখুন: যদি আপনার পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়, তাহলে এমন অবস্থানে চলে যান যেখানে নিজেকে কিছুটা সময় দিতে পারবেন সবকিছু বিবেচনা করার। বিরক্তিকর মানুষটির সঙ্গে আপাতত দূরত্ব তৈরি করা এবং তাকে কল বা টেক্সট করা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এতে নিজেকে সময় দিতে পারবেন। নয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকবে।

২. ভুল করবেন না: অপরপক্ষের মানুষটির সম্পর্কে ভুল ভাবনা বন্ধ করুন। তাকে কি আপনি সত্যিই আপনার জীবনে রাখতে চান? নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন। আপনাকে আপনার অনুভূতির মূল্যায়ন করতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ সম্পর্কে নিজেকে বোঝাতে হবে। একবার নিজের অনুভূতি স্বীকার করলে, পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।

৩. লিমিট রাখুন: আপনার সব সময় এমন সীমানা তৈরি করা উচিত যা অপরপক্ষ কখনোই অতিক্রম করবে না। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে যেখানে আঘাতের সম্ভাবনা বেশি। সীমানা নির্ধারণ করলে তা আপনাকে যেকোনো বিপত্তি থেকে সহজেই পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাদ দিন: আপনি যদি এখনও তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বা স্ন্যাপ দেখে থাকেন তবে আপনি কখনোই তাকে অতিক্রম করতে পারবেন না। একবার আপনি আপনার মন তৈরি করে নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করুন এবং দূরত্ব তৈরি করা শুরু করুন। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাকে বাদ দেওয়া। এটি একটি স্পষ্ট চিহ্ন যে আপনি আর আগ্রহী নন এবং যোগাযোগ করতে চান না।

৫. আপনার সিদ্ধান্তে লেগে থাকুন: কোনো সম্পর্ক ছেড়ে গেলেও সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করা ছোট ছোট জিনিস বা মুহূর্তগুলি মনে রাখা স্বাভাবিক। তার সম্পর্কে চিন্তা করা স্বাভাবিক, তবে তাদের কাছে ফিরে যাওয়া নয়। আপনার সিদ্ধান্তে লেগে থাকুন এবং দুর্বল মুহূর্তে তার কাছে পৌঁছাবেন না।