শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনা-রেহানা-জয়সহ ৩৮৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি-সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়,  নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৩৮৮ জনকে আসামি করে সাভারের আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে।

সুমন ইসলাম (২৩) নামের এক মাদরাসা ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলাটি করেন তার মা মোছা. কাজলী।

আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারধর ও গুলিবর্ষণ করে হত্যা ও হত্যার হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।

মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

মামলার আরও আসামি হলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পলায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।

ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাইপাইলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মাদ্রাসাছাত্র সুমন ইসলাম। নিহত সুমন ইসলাম পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার আমিননগর শিকারপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ বক্সের সামনে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার উদ্দেশে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন মাদরাসার শিক্ষার্থী সুমন ইসলাম।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার হাবিবকে ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট দুপুরে মারা যান তিনি।

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

হাসিনা-রেহানা-জয়সহ ৩৮৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়,  নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৩৮৮ জনকে আসামি করে সাভারের আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে।

সুমন ইসলাম (২৩) নামের এক মাদরাসা ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলাটি করেন তার মা মোছা. কাজলী।

আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারধর ও গুলিবর্ষণ করে হত্যা ও হত্যার হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।

মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

মামলার আরও আসামি হলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পলায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।

ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাইপাইলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মাদ্রাসাছাত্র সুমন ইসলাম। নিহত সুমন ইসলাম পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার আমিননগর শিকারপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ বক্সের সামনে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার উদ্দেশে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন মাদরাসার শিক্ষার্থী সুমন ইসলাম।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার হাবিবকে ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট দুপুরে মারা যান তিনি।