
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত্ব তাহেরীর গাড়িতে হামলা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের টিএ রোডে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন করা নিয়ে শহরে এসেছিলেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনটির আয়োজক ছিলো জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত।
কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের নেতারা সেই কর্মসূচী বাতিল ঘোষণা করেন। ওদিকে তার শহরে প্রবেশের বিরােধীতা করে সম্মিলিত কাওমী প্রজন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের একটি সংগঠন প্রেস ক্লাবের সামনে পাল্টা অবস্থান কর্মসূচী দেয়।
আজ দুপুরে টিএরোড ফকিরাপুল ব্রীজের ওপর সঙ্গের লোকজনকে নিয়ে গাড়িতে উঠেন তাহেরী। সেখান থেকে কাউতলী এলাকায় যাওয়ার পথে টিএ রোডে উপস্থিত মাদ্রাসার ছাত্ররা চারদিক থেকে ঘেরাও করে তার গাড়িতে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এতে তিনিসহ গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হন। মাদ্রাসার বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা গাড়ি থেকে গিয়াস উদ্দিনকে বের করার চেষ্টা করেন। তারা দ্রুত গাড়ি নিয়ে ওইস্থান ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে ফকিরাপুল (ঘোড়াপট্টিসেতু) থেকে কাউতলী যাওয়ার পথে টিএ রোডের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুুছিয়া মাদ্রাসার বরাবর পৌঁছলে মাদ্রাসা ছাত্ররা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। আমি দ্রুতই অভিযোগ করব।
এ বিষয়ে সম্মিলিত কাওমী প্রজন্মের সমন্বয়ক কাজী সাইফুর রহমান মুন্না জানান, প্রশাসন অনুমতি না দেয়ার পরও তারা এসেছিলো। মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতা বলতে চেয়েছিলো আপনারা চলে গেলে ভালো হয়। এ নিয়ে ফকিরাপুলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের মারধর করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, টিএ রোড দিয়ে যাওয়ার সময় তার গাড়িতে ঢিল মারা হয়। গাড়ির সামনে ও সাইডে ঢিল পড়ে। তার একটি প্রোগ্রাম ছিলো। এ বিষয়ে গােয়েন্দা রিপোর্ট ছিলো প্রোগ্রাম করতে এলে ঝামেলা হতে পারে। আমরা বলেছিলাম ডিসি সাহেবের পারমিশান ছাড়া যাতে প্রোগ্রাম না করে। তাহেরী সাহেব আমাকে ফোন করে গাড়িতে হামলার অভিযোগ জানিয়েছেন। বলেছি লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 






































