বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা কেটে দেওয়ার অভিযোগ 

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈখালী দিঘিরপাড়  ( ৮নং ওয়ার্ড ) এ ২২ টি পরিবার রাস্তা বঞ্চিত প্রায় ১৫০-২০০ জন মানুষের রাস্তার ভোগান্তি রাস্তা হওয়ার পরেও রাস্তা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রাস্তা সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসলেও ব্যক্তিগত ২২ টি শ্রমজীবি শিক্ষার্থী পরিবারের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে নিজ জমির মাটি ও মোটা অংকের টাকা বাড়ৈখালী ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাফর খন্দকারের বিরোদ্দে এ অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেন মো. জাহিদুল ইসলাম (২৫), পিতা- নাজির ইসলাম, গ্রাম পূর্ব বাড়ৈখালী, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সীগঞ্জ।

যাদের বিবাদী করেন ১ খন্দকার আবু জাফর (৬৫) (০৮ নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার), পিতা- মৃত অজ্ঞাত, সাং- শ্রীধরপুর, ২। পিনু খন্দকার (৫৫) (আওয়ামীলীগ নেতা), পিতা- মৃত সৈজদ্দিন খন্দকার, ৩। উজ্জল (৩৮), পিতা- মৃত মাধু, ৪। সাগর দেওয়ান (৪৫), পিতা- মৃত মাওলা বক্স দেওয়ান, ৫। রমেশ বাউল (৪৮), পিতা- মৃত সুবল বাউল, ৬। শেখ জাহিদ (২৮), পিতা- শেখ জামাল, ৭। শেখ সেলিম (৫৫), পিতা- মৃত শেখ সফিউদ্দিন, ৮। অমল মল্লিক (৫৫), পিতা- মৃত শ্রী রেবতী মল্লিক, ৯। বিমল মন্ডল (৫০), পিতা- সুবল মন্ডল, ১০। তরুন বাউল (৩৫), পিতা- গোবিন্দ বাউল, ১১ হারাধন সরকার (৫৫), পিতা- মৃত কালাচাঁন সরকার, ১২। সনু মন্ডল (৪৫), পিতা- রশরাজ মন্ডল, ১৩। কালু মল্লিক (৫৫), পিতা- নিতাই মল্লিক, সর্ব সাং- পূর্ব বাড়ৈখালী, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সীগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

 অনুমানিক ০৪ মাস পূর্বে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু মূল রাস্তাটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ০১ নং বিবাদী আর সংযোগ রাস্তা তৈরি করে দেন নি। রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রাস্তা পরিদর্শনে আসেন।

এছাড়াও বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোথাও কোন সাক্ষী দিলে কিংবা যারাই সাক্ষী দিবে তাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। বিবাদীরা জাহিদুল কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং রাস্তার বিষয় নিয়া বেশি বাড়াবাড়ি করিলে বাদী ও তার পরিবারসহ যারাই প্রতিবাদ করিবে তাদেরকে খুন জখম করবে, বিবাদীদের হুমকীতে  বাদী এবং এলাকার লোকজন প্রান নাশের ঝুঁকিতে আছে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তীদের গনস্বাক্ষর দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাফর খন্দকার বলেন রাস্তার জন্য আমি কোন টাকা নেয়নি বেকু ড্রাইভার কে টাকা দিতে পারে তবে রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে  চেয়ারম্যানের হুকুমে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাস্তাটি কাবিখা প্রকল্পের, বাজেটে হয় না এজন্য বেকু দিয়ে করেছি, টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যান, তিনি রাস্তা কেটে দিয়েছেন স্বীকার করেছেন।

জনপ্রিয়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শীতের যে ৫ সবজি

ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা কেটে দেওয়ার অভিযোগ 

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈখালী দিঘিরপাড়  ( ৮নং ওয়ার্ড ) এ ২২ টি পরিবার রাস্তা বঞ্চিত প্রায় ১৫০-২০০ জন মানুষের রাস্তার ভোগান্তি রাস্তা হওয়ার পরেও রাস্তা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রাস্তা সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসলেও ব্যক্তিগত ২২ টি শ্রমজীবি শিক্ষার্থী পরিবারের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে নিজ জমির মাটি ও মোটা অংকের টাকা বাড়ৈখালী ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাফর খন্দকারের বিরোদ্দে এ অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেন মো. জাহিদুল ইসলাম (২৫), পিতা- নাজির ইসলাম, গ্রাম পূর্ব বাড়ৈখালী, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সীগঞ্জ।

যাদের বিবাদী করেন ১ খন্দকার আবু জাফর (৬৫) (০৮ নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার), পিতা- মৃত অজ্ঞাত, সাং- শ্রীধরপুর, ২। পিনু খন্দকার (৫৫) (আওয়ামীলীগ নেতা), পিতা- মৃত সৈজদ্দিন খন্দকার, ৩। উজ্জল (৩৮), পিতা- মৃত মাধু, ৪। সাগর দেওয়ান (৪৫), পিতা- মৃত মাওলা বক্স দেওয়ান, ৫। রমেশ বাউল (৪৮), পিতা- মৃত সুবল বাউল, ৬। শেখ জাহিদ (২৮), পিতা- শেখ জামাল, ৭। শেখ সেলিম (৫৫), পিতা- মৃত শেখ সফিউদ্দিন, ৮। অমল মল্লিক (৫৫), পিতা- মৃত শ্রী রেবতী মল্লিক, ৯। বিমল মন্ডল (৫০), পিতা- সুবল মন্ডল, ১০। তরুন বাউল (৩৫), পিতা- গোবিন্দ বাউল, ১১ হারাধন সরকার (৫৫), পিতা- মৃত কালাচাঁন সরকার, ১২। সনু মন্ডল (৪৫), পিতা- রশরাজ মন্ডল, ১৩। কালু মল্লিক (৫৫), পিতা- নিতাই মল্লিক, সর্ব সাং- পূর্ব বাড়ৈখালী, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সীগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

 অনুমানিক ০৪ মাস পূর্বে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু মূল রাস্তাটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ০১ নং বিবাদী আর সংযোগ রাস্তা তৈরি করে দেন নি। রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রাস্তা পরিদর্শনে আসেন।

এছাড়াও বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোথাও কোন সাক্ষী দিলে কিংবা যারাই সাক্ষী দিবে তাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। বিবাদীরা জাহিদুল কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং রাস্তার বিষয় নিয়া বেশি বাড়াবাড়ি করিলে বাদী ও তার পরিবারসহ যারাই প্রতিবাদ করিবে তাদেরকে খুন জখম করবে, বিবাদীদের হুমকীতে  বাদী এবং এলাকার লোকজন প্রান নাশের ঝুঁকিতে আছে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তীদের গনস্বাক্ষর দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাফর খন্দকার বলেন রাস্তার জন্য আমি কোন টাকা নেয়নি বেকু ড্রাইভার কে টাকা দিতে পারে তবে রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে  চেয়ারম্যানের হুকুমে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাস্তাটি কাবিখা প্রকল্পের, বাজেটে হয় না এজন্য বেকু দিয়ে করেছি, টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যান, তিনি রাস্তা কেটে দিয়েছেন স্বীকার করেছেন।