
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে দেশের ছাত্রলীগ , যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। গত ১৪ আগস্ট ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন স্ট্যান্ড বাজার এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, হকি স্টিক এবং লাঠি-সোটাসহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি হামলা চালায় । একসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম আহমেদ নীরবের নির্দেশে নিরীহ ছাত্রদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। ওই সময় অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ এলাকাবাসীর গুরুতর আহত হয় । এখনো অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
এই ঘটনায় মোঃ বাসার আহম্মেদ, পিতা-মৃত আব্দুল গোফরান, সাং- নতুন শুভ্যাড্ডা, থানা- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় জসীম আহম্মেদ নীরবসহ ৩০১ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৬/৫৩৫ । মামলা হওয়ার পর থেকেই নিরব ও তারসঙ্গীরা পলাতক ছিল ।
এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর সদস্যরা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম আহম্মেদ নিরবকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালায় ।
বুধবার ০৯ অক্টোবর ভোর রাতে রাত দশের সদস্যরা সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় নিয়োগ রাজধানী সেগুন বালিকা থেকে গ্রেফতার করে ।
গ্রেফতারকৃত জসিম আহমেদ নীরবে বিরুদ্ধে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত নিরবকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।
এদিকে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার সাধারণ ছাত্র জনতা স্বস্তি প্রকাশ করেছে । তারা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে ।
দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো 







































