মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটে জড়িতদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ

ছবি-সংগৃহীত

সিন্ডিকেট দমনে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। একইসঙ্গে যেসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করছে তাদেরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ ঘোষণা দেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, একের পর এক অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করছি। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। বন্যায় অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে, এ কারণে শাক-সবজির দাম বেশি। কিন্তু অন্যান্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে এখানে সিন্ডিকেটের বড় প্রভাব আছে।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা কাজ করছি। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে। করপোরেটদের সঙ্গে আগের সরকারের একটি যোগাযোগ থাকার কারণে এটি এত দুর্বল করা হয়েছে যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবেদন আসে যে অভিযান হলো। সেখানে ৩ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা। এটি তো ইফেক্টিভ না।

উপদেষ্টা বলেন, আগে যেমন ছিল ওনাদের একটা জেল দেওয়ারও ক্ষমতা ছিল আইনে। ব্যাপারগুলোকে এমনভাবে নষ্ট করা হয়েছে এটা টাইম নেবে একটু। আইন সংশোধন করা, শক্তিশালী করা; বেশ কয়েকটা ব্যাপার আছে। কিন্তু এর আগে আমরা ভাবছি যে, আমাদেরকে হার্ডলাইনে যেতে হবে। না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

এখন চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ বলেন, আগে যে সিন্ডিকেট ছিল, সেটি আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে তো ব্যবসায়ীরাই বসে ছিলেন। তারা এখনো রয়ে গেছে। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাঁচাতে কোনো কোনো রাজনীতিবিদের সঙ্গে লিয়াজোঁর মাধ্যমে সিন্ডিকেট টিকিয়ে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা শনাক্ত করছি। সেটি অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একজন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হলে সেই জায়গায় অন্যজন রিপ্লেস হয়ে যান। আমরা গোড়াটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করতে হবে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগের সেই ইভিল প্র্যাকটিসের (বাজে চর্চা) ঢুকে যান, তাহলে শেষ পর্যন্ত যে পরিবর্তনের জন্য এত মানুষ জীবন দিয়েছেন, সেটি সম্ভব হবে না। প্রতিটি পক্ষকে সহায়তা করতে হবে।

জনপ্রিয়

সিন্ডিকেটে জড়িতদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশের সময় : ০৫:১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

সিন্ডিকেট দমনে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। একইসঙ্গে যেসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করছে তাদেরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ ঘোষণা দেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, একের পর এক অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করছি। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। বন্যায় অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে, এ কারণে শাক-সবজির দাম বেশি। কিন্তু অন্যান্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে এখানে সিন্ডিকেটের বড় প্রভাব আছে।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা কাজ করছি। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে। করপোরেটদের সঙ্গে আগের সরকারের একটি যোগাযোগ থাকার কারণে এটি এত দুর্বল করা হয়েছে যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবেদন আসে যে অভিযান হলো। সেখানে ৩ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা। এটি তো ইফেক্টিভ না।

উপদেষ্টা বলেন, আগে যেমন ছিল ওনাদের একটা জেল দেওয়ারও ক্ষমতা ছিল আইনে। ব্যাপারগুলোকে এমনভাবে নষ্ট করা হয়েছে এটা টাইম নেবে একটু। আইন সংশোধন করা, শক্তিশালী করা; বেশ কয়েকটা ব্যাপার আছে। কিন্তু এর আগে আমরা ভাবছি যে, আমাদেরকে হার্ডলাইনে যেতে হবে। না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

এখন চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ বলেন, আগে যে সিন্ডিকেট ছিল, সেটি আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে তো ব্যবসায়ীরাই বসে ছিলেন। তারা এখনো রয়ে গেছে। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাঁচাতে কোনো কোনো রাজনীতিবিদের সঙ্গে লিয়াজোঁর মাধ্যমে সিন্ডিকেট টিকিয়ে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা শনাক্ত করছি। সেটি অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একজন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হলে সেই জায়গায় অন্যজন রিপ্লেস হয়ে যান। আমরা গোড়াটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করতে হবে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগের সেই ইভিল প্র্যাকটিসের (বাজে চর্চা) ঢুকে যান, তাহলে শেষ পর্যন্ত যে পরিবর্তনের জন্য এত মানুষ জীবন দিয়েছেন, সেটি সম্ভব হবে না। প্রতিটি পক্ষকে সহায়তা করতে হবে।