শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরলো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে

ফাইল ছবি

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউয়ের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে আবারও বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে বহাল রাখা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।

এই রায়ের কারণে দীর্ঘ ৮ বছর পর গুরুত্বপূর্ণ এ রিভিউ আপিলের নিষ্পত্তি হলো।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ আদালতে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে রয়েছে। এর শুনানি হওয়া প্রয়োজন।

গত ১৫ আগস্ট বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

দেশের প্রথম সংবিধানে সংসদের হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাখা হয়। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণে নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যন্ত বিচারপতি অপসারণ নিয়ে আর নতুন কোনো সংশোধনী আসেনি। তবে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় জাতীয় সংসদ।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার তৎপরতায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর রিভিউতে যায় যা এখনও একই অবস্থাতেই আছে। ফলে কার্যত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা কীভাবে নিষ্পত্তি হবে সেটি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

গত ১৫ অক্টোবর সিএমএম কোর্টে আওয়ামী লীগ পন্থি আইনজীবীদের স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১২ বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি সামনে আসে। ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারেই প্রেক্ষিতে ১২ জন বিচারককে আজ শুরু হওয়া কোর্টে বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে আজ রিভিউ আবেদনটি সামনে এনে সিদ্ধান্ত নিবে সুপ্রীম কোর্ট।

জনপ্রিয়

ফিফা শান্তি পুরস্কার জিতে ছুঁয়েও দেখলেন না ট্রাম্প

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরলো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে

প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউয়ের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে আবারও বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে বহাল রাখা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।

এই রায়ের কারণে দীর্ঘ ৮ বছর পর গুরুত্বপূর্ণ এ রিভিউ আপিলের নিষ্পত্তি হলো।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ আদালতে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে রয়েছে। এর শুনানি হওয়া প্রয়োজন।

গত ১৫ আগস্ট বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

দেশের প্রথম সংবিধানে সংসদের হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাখা হয়। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণে নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যন্ত বিচারপতি অপসারণ নিয়ে আর নতুন কোনো সংশোধনী আসেনি। তবে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় জাতীয় সংসদ।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার তৎপরতায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর রিভিউতে যায় যা এখনও একই অবস্থাতেই আছে। ফলে কার্যত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা কীভাবে নিষ্পত্তি হবে সেটি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

গত ১৫ অক্টোবর সিএমএম কোর্টে আওয়ামী লীগ পন্থি আইনজীবীদের স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১২ বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি সামনে আসে। ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারেই প্রেক্ষিতে ১২ জন বিচারককে আজ শুরু হওয়া কোর্টে বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে আজ রিভিউ আবেদনটি সামনে এনে সিদ্ধান্ত নিবে সুপ্রীম কোর্ট।