শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একসঙ্গে মা-ছেলের এইচএসসি পাস

ছবি-সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় একসঙ্গে মা ও ছেলে এইচএসসি পাস করেছেন। এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কৃতিত্ব অর্জনকারী এই মায়ের নাম শেফালী আক্তার। তিনি ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ গ্রামের বাসিন্দা। তার ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদও পাস করেছেন পরীক্ষায়। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে মা শেফালী আক্তার কারিগরি শাখা থেকে পেয়েছেন জিপিএ ৪.৩৩ এবং মানবিক শাখা থেকে ছেলে পেয়েছেন ৪.৮৩।

এর মধ্যে শেফালী আক্তার ফুলবাড়িয়া কালাদহ জনতা মহাবিদ্যালয় কারিগরি শাখা থেকে ও ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদ ঢাকার মিরপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের মানবিক শাখা থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। মা-ছেলের এমন সাফল্যের খবরে ফুলবাড়িয়ার শিবরামপুর গ্রামজুড়ে চলছে আলোচনা।

জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার শিবরামপুর গ্রামের দরিদ্র নুরুল ইসলামের স্ত্রী শেফালী আক্তার। তিনি স্থানীয় শুশুতি বাজারে সাফা মেডিকেল সেন্টারের রিসিপশনের কাজ করেন। স্বামী শুশুতি বাজারে ছোট্ট একটি লাইব্রেরির দোকান করেন। দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে অনেকটা অভাবের সংসার তাদের।

মা শেফালী আক্তার বলেন, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকায় চাকরি চলে যায়, স্বামী সন্তানের কাছে লজ্জায় পড়ে যাই। পরে সিদ্ধান্ত নিই লেখাপড়া করবো।

জনপ্রিয়

মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছে, কেন এমন মন্তব্য করলেন মিমি??

একসঙ্গে মা-ছেলের এইচএসসি পাস

প্রকাশের সময় : ০২:১১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় একসঙ্গে মা ও ছেলে এইচএসসি পাস করেছেন। এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কৃতিত্ব অর্জনকারী এই মায়ের নাম শেফালী আক্তার। তিনি ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ গ্রামের বাসিন্দা। তার ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদও পাস করেছেন পরীক্ষায়। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে মা শেফালী আক্তার কারিগরি শাখা থেকে পেয়েছেন জিপিএ ৪.৩৩ এবং মানবিক শাখা থেকে ছেলে পেয়েছেন ৪.৮৩।

এর মধ্যে শেফালী আক্তার ফুলবাড়িয়া কালাদহ জনতা মহাবিদ্যালয় কারিগরি শাখা থেকে ও ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদ ঢাকার মিরপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের মানবিক শাখা থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। মা-ছেলের এমন সাফল্যের খবরে ফুলবাড়িয়ার শিবরামপুর গ্রামজুড়ে চলছে আলোচনা।

জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার শিবরামপুর গ্রামের দরিদ্র নুরুল ইসলামের স্ত্রী শেফালী আক্তার। তিনি স্থানীয় শুশুতি বাজারে সাফা মেডিকেল সেন্টারের রিসিপশনের কাজ করেন। স্বামী শুশুতি বাজারে ছোট্ট একটি লাইব্রেরির দোকান করেন। দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে অনেকটা অভাবের সংসার তাদের।

মা শেফালী আক্তার বলেন, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকায় চাকরি চলে যায়, স্বামী সন্তানের কাছে লজ্জায় পড়ে যাই। পরে সিদ্ধান্ত নিই লেখাপড়া করবো।