শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্র কল্যানের উপদেষ্টা হতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে 

জবিস্থ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র কল্যাণের উপদেষ্টা পদ পেতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল-আমিনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জবি ছাত্র দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নাহিয়ান বিন হক অনিক শাখা ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক । তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত এর অনুসারী।
গতকাল রোববার ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র কল্যানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ক্যাম্পাসে আসলে টিএসসিতে এই মারধরের ঘটনায় ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন টিএসসির সিরাজের চায়ের দোকানে মান্নান জুনিয়রদের সাথে চা আড্ডাকালে অতর্কিত হামলা করে অনিক ও তার সহযোগীরা। এতে দোকানীর কয়েকটি গ্লাস ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে তারা।
জানা যায়, ছাত্রদল নেতা অনিক নেত্রোকোনা জেলার হয়ে থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবে ময়মনসিংহ জেলার উপদেষ্টা হতে চান। তবে এতে বিরোধিতা করেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র কল্যানের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। ফলে মারধর করে অনিক ও তার সহযোগীরা। মারধরের শিকার আহত ভুক্তভোগী আল-আমিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
ভুক্তভোগী সাবেক শিক্ষার্থী আল-আমিন জানান, ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের নাহিয়ান বিন হক অনিক (৭ম ব্যাচ), তুষার পাল(৭ম ব্যাচ) , ২০১২-২০১৩ সেশনের রাশেদ বিন হাশিম (৮ম ব্যাচ), আহম্মেদ কাওসার আকাশ (৮ম ব্যাচ), রাশেদুল ইসলাম রাহাত (১১ব্যাচ), মিয়া রাসেল (৯ম ব্যাচ), সোলাইমান খান সাগর (১১ব্যাচ), ইসরাফিল (১৩ ব্যাচ), ওমর ফারুক (১২ ব্যাচ)সহ অন্যান্যরা হামলা চালায়।
ভুক্তভুগী আলা-আমিন বলেন,আমি কোন রাজনীতিতে যুক্ত না। নাহিয়ান বিন হক অনিক অন্য জেলার হয়েও আমাদের জেলা ছাত্রকল্যাণে প্রভাব খাটাতে চায়। তার ইচ্ছেমতো নেতৃত্ব দিতে চায়। এই ব্যাপারে আমরা তার বিরোধিতা করায় আজ আমার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করেছে। এছাড়া সে দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদ চায়। কিন্তু আমি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে আমাকে মারধর করেছে।
তবে এই মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত নাহিয়ান বিন হক অনিক। তিনি বলেন, আমরা আল-আমিন নামের কোনো ছেলেকে কখনো মারি নাই। টিএসসি তে বসে থাকাকালীন সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে টিএসসি থেকে বের করে দিতে চায়। তখন আমরা সেখানে গিয়ে ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কোনো প্রকার মারামারি ছাড়া টিএসসি থেকে বের করে দিই।”
দোকানে ভাংচুরের শিকার দোকানী সিরাজ বলেন, “ওরা হঠাৎ করে এসেই একজনকে মারা শুরু করে। অনেক সিনিয়র কাউকেই চিনিনা। কয়েকটা চাপের কাপ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে ফেলেছে।”
এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, “আমি অসুস্থতার কারণে বাইরে যাই না কিছু দিন। মারামারির ঘটনা শুনেছি বিস্তারিত জানিনা। ঘটনা সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায় নি।
জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

ছাত্র কল্যানের উপদেষ্টা হতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে 

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
জবিস্থ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র কল্যাণের উপদেষ্টা পদ পেতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল-আমিনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জবি ছাত্র দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নাহিয়ান বিন হক অনিক শাখা ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক । তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত এর অনুসারী।
গতকাল রোববার ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র কল্যানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ক্যাম্পাসে আসলে টিএসসিতে এই মারধরের ঘটনায় ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন টিএসসির সিরাজের চায়ের দোকানে মান্নান জুনিয়রদের সাথে চা আড্ডাকালে অতর্কিত হামলা করে অনিক ও তার সহযোগীরা। এতে দোকানীর কয়েকটি গ্লাস ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে তারা।
জানা যায়, ছাত্রদল নেতা অনিক নেত্রোকোনা জেলার হয়ে থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবে ময়মনসিংহ জেলার উপদেষ্টা হতে চান। তবে এতে বিরোধিতা করেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র কল্যানের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। ফলে মারধর করে অনিক ও তার সহযোগীরা। মারধরের শিকার আহত ভুক্তভোগী আল-আমিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
ভুক্তভোগী সাবেক শিক্ষার্থী আল-আমিন জানান, ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের নাহিয়ান বিন হক অনিক (৭ম ব্যাচ), তুষার পাল(৭ম ব্যাচ) , ২০১২-২০১৩ সেশনের রাশেদ বিন হাশিম (৮ম ব্যাচ), আহম্মেদ কাওসার আকাশ (৮ম ব্যাচ), রাশেদুল ইসলাম রাহাত (১১ব্যাচ), মিয়া রাসেল (৯ম ব্যাচ), সোলাইমান খান সাগর (১১ব্যাচ), ইসরাফিল (১৩ ব্যাচ), ওমর ফারুক (১২ ব্যাচ)সহ অন্যান্যরা হামলা চালায়।
ভুক্তভুগী আলা-আমিন বলেন,আমি কোন রাজনীতিতে যুক্ত না। নাহিয়ান বিন হক অনিক অন্য জেলার হয়েও আমাদের জেলা ছাত্রকল্যাণে প্রভাব খাটাতে চায়। তার ইচ্ছেমতো নেতৃত্ব দিতে চায়। এই ব্যাপারে আমরা তার বিরোধিতা করায় আজ আমার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করেছে। এছাড়া সে দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদ চায়। কিন্তু আমি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে আমাকে মারধর করেছে।
তবে এই মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত নাহিয়ান বিন হক অনিক। তিনি বলেন, আমরা আল-আমিন নামের কোনো ছেলেকে কখনো মারি নাই। টিএসসি তে বসে থাকাকালীন সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে টিএসসি থেকে বের করে দিতে চায়। তখন আমরা সেখানে গিয়ে ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কোনো প্রকার মারামারি ছাড়া টিএসসি থেকে বের করে দিই।”
দোকানে ভাংচুরের শিকার দোকানী সিরাজ বলেন, “ওরা হঠাৎ করে এসেই একজনকে মারা শুরু করে। অনেক সিনিয়র কাউকেই চিনিনা। কয়েকটা চাপের কাপ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে ফেলেছে।”
এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, “আমি অসুস্থতার কারণে বাইরে যাই না কিছু দিন। মারামারির ঘটনা শুনেছি বিস্তারিত জানিনা। ঘটনা সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায় নি।