
কর্মক্ষেত্র নিয়ে হাহুতাশ করেন, দিন-রাত যেখানে কাজ করছেন, সে কোম্পানিকে গালমন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। অবশ্য কেন তিনি সফল হচ্ছেন না, বছরের পর বছর এক জায়গায় পড়ে আছেন সেটা নিয়ে মোটেও ভাবেন না। নিজের দুর্বল দিক সবল করতে তৎপর নয় বরং কোম্পানির দুর্বলতা নিয়ে আলোচনায় মুখর থাকেন। সফলতা অর্জনের কোনো শর্টকাট পথ নেই। তবে কিছু নিয়ম তো আছেই, যা মানলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া সম্ভব।
যতটুকু কাজ যখনই করা হোক। সেটা গুছিয়ে করতে হবে। অগোছাল কাজ ক্যারিয়ারের ক্ষতি করে। গোছানো মানুষ সহজে সফল হন। কাজই নয়, কর্মক্ষেত্রে কথাও গুছিয়ে বলতে হবে।
কমিউনিকেশন, মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ে দুর্বলতা থাকতেই পারে। তাই দুর্বল জায়গাটা কোথায়, সেটা চিহ্নিত করতে হবে। অতঃপর নিতে হবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ। লিডারশিপে ঘাটতি আছে? দু-একটা প্রশিক্ষণ নিলেই হয়। নিজের খরচে নিলে অসুবিধার চেয়ে পরবর্তী সময়ে সুবিধাই বেশি।
উপস্থাপনে দক্ষতা থাকা জরুরি। যুক্তি, তথ্য-উপাত্ত দিয়েই রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। বসরা বটম লাইন দেখেন। তাই বটম লাইন আকর্ষণীয় করার বিকল্প নেই।
ভারতের প্রখ্যাত লেখক শংকর বলেন, বস হলো আগুন। এর খুব কাছেও যেতে নেই। আবার খুব দূরেও থাকতে নেই। মোদ্দাকথা বস আপনার কাছে কী চায়, কেমনভাবে চায়, অবশ্যই সেটা বুঝতে হবে। ‘বস ইজ অলওয়েস রাইট’ কথাটা মাথায় রাখতে হবে। বসের চাটুকারিতা পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।
অফিসে পরচর্চা, গুজব ছড়ানো পরিহার করতে হবে। সহকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা জরুরি। কারও কাজ ভালো না লাগলে বুঝিয়ে বলতে হবে। ঝগড়া, দলাদলি, আঞ্চলিকতা থেকে দূরে থাকতে হবে।
সময়মতো অফিসে আসা এবং যাওয়া, অফিসিয়াল পোশাক পরা- এগুলো চর্চার মধ্যে আনতে হবে। আপনার অ্যাটেনডেন্স বছর শেষে দেখা হয়। যা পদোন্নতিতে প্রভাব ফেলে।
কাজকে ভালোবাসুন। কাজের মধ্যে আনন্দের সন্ধান করতে হবে। একঘেয়েমি যেন না আসে। তাই কাজে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা নিজেকেই করতে হবে। সে জন্য অভিজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া খারাপ নয়।
বস বা অন্য কেউ যখন কাজ করতে দেয় তখন কাজ শুরুর আগে, কাজটা কীভাবে করবেন, কোনভাবে করলে সহজ হবে, ডেটা সোর্স কে বা কারা, ডেটায় সমস্যা আছে কি না- এসব নিয়ে অন্তত পাঁচ মিনিট চিন্তা করুন। অবশ্যই কাজটা যিনি দেবেন, তার থেকে বুঝে নেবেন ষোলোআনা।
একটানা বসে কাজ শরীরের ক্ষতি করে। তাই কিছুক্ষণ পরপর একটু হেঁটে আসা ভালো। চোখে-মুখে পানি দিলে ভালো হয়। দূরে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। চোখ বন্ধ করে থাকুন কিছু সময়।
লাইফস্টাইল ডেস্ক 







































