শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জে জামায়াতের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠাধারী ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ তাণ্ডব ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিচারের দাবিতে জামালপুরের  বকশীগঞ্জে পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বরে   উপজেলা জামায়াতের  উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ  সমাবেশ   অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ অক্টোবর বিকালে  এই বিক্ষোভ সমাবেশের বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা সাজ্জাদ হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য মাওলানা এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদি ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাঈদী  বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে সেদিন লগি–বৈঠা দিয়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করা হয়। তারা সেদিন হত্যা করে লাশের ওপর  নাচগান  করেছিলো। তাই ২৮ অক্টোবরের সেই খুনিদের বিচার করতে হবে। এরপর বিগত ১৬ বছর জামায়াত এবং শিবিরের বিরুদ্ধে গুম খুন ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের বিচার এদেশের মাটিতে হবে ইনশাঅল্লাহ। ’
নাজমুল হক সাঈদী আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগেও শেখ হাসিনা জানত না তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। তারা কত বড় সন্ত্রাসী, কত বড় গুন্ডা কত বড় লুটতরাজকারী তা দেশবাসী দেখেছে। একারণেই এদেশের মানুষ আর তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা ভোটারবিহীন ও প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে এদেশকে অকার্যকর করে দিয়েছিল।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  জামালপুর জেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক অধ্যাপক ছামিউল হক    বলেন, ‘লগি–বৈঠা দিয়ে আওয়ামী লীগ যে হত্যাকাণ্ড করেছিল তা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা সেদিন বাংলাদেশে হত্যার মহাউৎসব করেছিল। ১৬ বছর দেশ চালিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এদেশের জনগণ তাদের বিচার নিশ্চিত করবে। যে ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে এদেশকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। আমরা তাদের সেই সম্মান ধরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
 বিক্ষোভ সমাবেশে  উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সাজ্জাদ হোসাইন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল মতিন, পৌর সেক্রেটারি মাওলানা রাশেদুল ইসলাম    শিবিরের  সভাপতি রবিউল ইসলাম রিশাদ, শিবিরের সেক্রেটারি  মাওলানা রেজুয়ান, মেরুরচর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান মিজান  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের উপজেলা  অফিস সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ , উপজেলা অর্থসম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি কারিমুল ইসলাম, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মানছুরুল আলম, আমীর আতিকুর রহমান আতিক, মেরুরচর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি কামরুজ্জামানসহ উপজেলার শহর জামায়াত ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জনপ্রিয়

যশোরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বকশীগঞ্জে জামায়াতের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠাধারী ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ তাণ্ডব ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিচারের দাবিতে জামালপুরের  বকশীগঞ্জে পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বরে   উপজেলা জামায়াতের  উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ  সমাবেশ   অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ অক্টোবর বিকালে  এই বিক্ষোভ সমাবেশের বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা সাজ্জাদ হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য মাওলানা এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদি ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাঈদী  বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে সেদিন লগি–বৈঠা দিয়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করা হয়। তারা সেদিন হত্যা করে লাশের ওপর  নাচগান  করেছিলো। তাই ২৮ অক্টোবরের সেই খুনিদের বিচার করতে হবে। এরপর বিগত ১৬ বছর জামায়াত এবং শিবিরের বিরুদ্ধে গুম খুন ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের বিচার এদেশের মাটিতে হবে ইনশাঅল্লাহ। ’
নাজমুল হক সাঈদী আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগেও শেখ হাসিনা জানত না তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। তারা কত বড় সন্ত্রাসী, কত বড় গুন্ডা কত বড় লুটতরাজকারী তা দেশবাসী দেখেছে। একারণেই এদেশের মানুষ আর তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা ভোটারবিহীন ও প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে এদেশকে অকার্যকর করে দিয়েছিল।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  জামালপুর জেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক অধ্যাপক ছামিউল হক    বলেন, ‘লগি–বৈঠা দিয়ে আওয়ামী লীগ যে হত্যাকাণ্ড করেছিল তা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা সেদিন বাংলাদেশে হত্যার মহাউৎসব করেছিল। ১৬ বছর দেশ চালিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এদেশের জনগণ তাদের বিচার নিশ্চিত করবে। যে ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে এদেশকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। আমরা তাদের সেই সম্মান ধরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
 বিক্ষোভ সমাবেশে  উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সাজ্জাদ হোসাইন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল মতিন, পৌর সেক্রেটারি মাওলানা রাশেদুল ইসলাম    শিবিরের  সভাপতি রবিউল ইসলাম রিশাদ, শিবিরের সেক্রেটারি  মাওলানা রেজুয়ান, মেরুরচর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান মিজান  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের উপজেলা  অফিস সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ , উপজেলা অর্থসম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি কারিমুল ইসলাম, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মানছুরুল আলম, আমীর আতিকুর রহমান আতিক, মেরুরচর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি কামরুজ্জামানসহ উপজেলার শহর জামায়াত ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।