
তাহের উদ্দিন (৪৫) প্রায় ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। চারবার অল্প সময়ের জন্য দেশে এসেছেন। এর মধ্যে গত প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে করে ফের কর্মস্থলে চলে যান তিনি। দাম্পত্য জীবনে রয়েছে দুই ছেলে সন্তান। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠিয়েছেন মোট ৮৭ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি দেশে ফিরে দেখেন স্ত্রী লাপাত্তা এবং ব্যাংক হিসাবটি ফাঁকা। এ ঘটনার পর স্ত্রীর নামে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় কোটি টাকা প্রতারণার মামলা করেন তাহের।
তাহের বিষয়টি নিয়ে তানিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি সব মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন। এভাবেই চলতে থাকা অবস্থায় গত সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ তিনি দেশে এসে দেখেন তার স্ত্রী তানিয়া বাড়িতে নেই। দুই সন্তানকে রেখেই তানিয়া লাপাত্তা হয়ে গেছেন। তানিয়ার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করাসহ শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ করে তার কোনো সন্ধান করতে পারেননি তাহের। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তানিয়া পালিয়ে গেছেন। যাওয়ার সময় তিনি আট ভরি স্বর্ণসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যান। এতে হিসাব করে দেখা যায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মোট এক কোটি ২১ লক্ষ টাকা নিয়ে যান স্ত্রী।
তাহের উদ্দিন গত ১৯ সেপ্টেম্বর নান্দাইল থানায় তানিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় তানিয়া গত ২০ অক্টোবর ময়মনসিংহ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সেখানে থাকা অবস্থায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি তানিয়ার বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
থানায় অবস্থান করা অভিযুক্ত তানিয়া জানান, তিনি স্বামীর পাঠানো টাকা দিয়ে দুই ছেলের নামে জমি ক্রয় ছাড়াও ভরণপোষণে ব্যয় করেছেন। তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। পরে স্বামী তাকে সন্দেহ করায় নিজ উদ্যোগে তালাক দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, রিমান্ডে আসামির কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। যা মামলার কাজে লাগবে।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি 






























