সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আমেরিকা ও রাশিয়ার ঠান্ডা লড়াই সর্বজনবিদিত। একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিলেও বানিজ্যিক ক্ষেত্রে একে অপরকে বিপাকে ফেলতে সর্বদা প্রস্তুত এই দুই রাষ্ট্র। আবারও তেমন ঘটনাই প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে।

এর আগে দুটি ভারতীয় শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ ছিল রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত ছিল ওই দুই সংস্থা। এবার আরও কঠিনতম পদক্ষেপের দিকে এগোলো আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন চাল দিতেই শত শত লক্ষ্যবস্তুর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন বিবৃতি অনুসারে মার্কিন ট্রেজারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের দ্বারা গৃহীত এই পদক্ষেপটি এক ডজনেরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি সংস্থা এবং ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপটি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বৃহত্তর ধাক্কায় পরিণত হচ্ছে। কয়েক ডজন চীনা, হংকং এবং ভারতীয় কোম্পানির ওপরেই নিষেধাজ্ঞার বহর সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ২৭৪টি টার্গেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, পাশাপাশি স্টেট ডিপার্টমেন্ট ১২০টিরও বেশি সংস্থাকে মনোনীত করেছে এবং বাণিজ্য বিভাগ ৪০টি কোম্পানি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের তথাকথিত সমর্থনের জন্য একটি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন কঠোরতা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন যে ‘এই ঘটনা অবৈধ এবং অযৌক্তিক। এরকম একতরফা নিষেধাজ্ঞার প্রতি দৃঢ়ভাবে বিরোধীতা জানাই।’ যদিও এবিষয়ে ওয়াশিংটনে রাশিয়ান ও ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তারা কোনও উত্তর দেননি।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, ভারত থেকে রাশিয়ায় অবৈধ পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, সেইসাথে এই ধরনের কার্যকলাপে সহায়তাকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগ্রহ বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাই সরাসরি কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির জটিলতার জেরে বিশ্ব বাণিজ্যে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে কি ঘটতে চলেছে তা এখনই অনুমান করা মুশকিল।

জনপ্রিয়

মরহুম মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের স্মরণে বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল

ভারতের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশের সময় : ০৯:১৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আমেরিকা ও রাশিয়ার ঠান্ডা লড়াই সর্বজনবিদিত। একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিলেও বানিজ্যিক ক্ষেত্রে একে অপরকে বিপাকে ফেলতে সর্বদা প্রস্তুত এই দুই রাষ্ট্র। আবারও তেমন ঘটনাই প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে।

এর আগে দুটি ভারতীয় শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ ছিল রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত ছিল ওই দুই সংস্থা। এবার আরও কঠিনতম পদক্ষেপের দিকে এগোলো আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন চাল দিতেই শত শত লক্ষ্যবস্তুর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন বিবৃতি অনুসারে মার্কিন ট্রেজারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের দ্বারা গৃহীত এই পদক্ষেপটি এক ডজনেরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি সংস্থা এবং ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপটি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বৃহত্তর ধাক্কায় পরিণত হচ্ছে। কয়েক ডজন চীনা, হংকং এবং ভারতীয় কোম্পানির ওপরেই নিষেধাজ্ঞার বহর সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ২৭৪টি টার্গেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, পাশাপাশি স্টেট ডিপার্টমেন্ট ১২০টিরও বেশি সংস্থাকে মনোনীত করেছে এবং বাণিজ্য বিভাগ ৪০টি কোম্পানি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের তথাকথিত সমর্থনের জন্য একটি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন কঠোরতা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন যে ‘এই ঘটনা অবৈধ এবং অযৌক্তিক। এরকম একতরফা নিষেধাজ্ঞার প্রতি দৃঢ়ভাবে বিরোধীতা জানাই।’ যদিও এবিষয়ে ওয়াশিংটনে রাশিয়ান ও ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তারা কোনও উত্তর দেননি।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, ভারত থেকে রাশিয়ায় অবৈধ পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, সেইসাথে এই ধরনের কার্যকলাপে সহায়তাকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগ্রহ বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাই সরাসরি কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির জটিলতার জেরে বিশ্ব বাণিজ্যে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে কি ঘটতে চলেছে তা এখনই অনুমান করা মুশকিল।