মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমগাছে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

ছবি-সংগৃহীত

চাঁদপুরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর নাম আসমা আক্তার (২০)। রবিবার (৩ নভেম্বর) ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের রাঢ়ি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. মাসুমের স্ত্রী ও একই উপজেলার চরমথুরা গ্রামের খান বাড়ির মৃত হাফেজ খানের মেয়ে।

ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর আগে মাসুমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আসমার। বিয়ের পরপরই স্বামী প্রবাসে পাড়ি জমান। তাদের এক বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। আসমা তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই দেবরের সঙ্গে থাকতেন।

আসমার শাশুড়ি মাছুমা বেগম বলেন, পরিবারের সবাই শনিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তবে মোবাইলে টিকটক চালানোর কারণে আসমার ঘুমানোর কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। ভোরে আসমার শ্বশুর বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে পাশের আমগাছের সঙ্গে আসমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখান থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আসমার দেবর সাইমুন বলেন, টিকটকে আসক্ত ভাবি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে বলে সন্দেহে পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ঝগড়া হয়নি। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছি না।

ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, আসমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, এ ঘটনায় আসমার বড় ভাই মো. রুবেল খান থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

জনপ্রিয়

সকালের যে অভ্যাসগুলো দ্রুত বুড়িয়ে দিচ্ছে আপনাকে

আমগাছে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর নাম আসমা আক্তার (২০)। রবিবার (৩ নভেম্বর) ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের রাঢ়ি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. মাসুমের স্ত্রী ও একই উপজেলার চরমথুরা গ্রামের খান বাড়ির মৃত হাফেজ খানের মেয়ে।

ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর আগে মাসুমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আসমার। বিয়ের পরপরই স্বামী প্রবাসে পাড়ি জমান। তাদের এক বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। আসমা তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই দেবরের সঙ্গে থাকতেন।

আসমার শাশুড়ি মাছুমা বেগম বলেন, পরিবারের সবাই শনিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তবে মোবাইলে টিকটক চালানোর কারণে আসমার ঘুমানোর কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। ভোরে আসমার শ্বশুর বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে পাশের আমগাছের সঙ্গে আসমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখান থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আসমার দেবর সাইমুন বলেন, টিকটকে আসক্ত ভাবি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে বলে সন্দেহে পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ঝগড়া হয়নি। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছি না।

ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, আসমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, এ ঘটনায় আসমার বড় ভাই মো. রুবেল খান থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।