রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ পরিবার যেন আ.লীগে আর না থাকতে পারে: তাজউদ্দীনের মেয়ে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ১২৯

ছবি-সংগৃহীত

শেখ পরিবার যেন আওয়ামী লীগে আর থাকতে না পারে- এমন মন্তব্য করেছেন তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগকে হাইজ্যাক করে শেখ পরিবার। তারা স্বাধীনতার চেতনা ও দলীয় ব্যানারে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছিল।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ছিন্নভিন্ন আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াতে রাজি নন তাজউদ্দিন পরিবার। দুর্নীতিগ্রস্ত দলটিকে উজ্জীবিত করা সহজ নয়, মন্তব্য করে তাজউদ্দীনের মেয়ে শারমিন আহমদ জানান, ৭৫’এর পর তার মা যখন আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে আসতে শুরু করেন, তখন দিল্লি থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ আর দল থাকল না, পরিবারের হয়ে গেল।

শারমিন আহমদ বলেন, এটা খুব কষ্টের ব্যাপার যে উনি (শেখ হাসিনা) একটা পরিবার লীগ গঠন করে ছিলেন। উনি যখন নেতৃত্বটা নিলেন তখন আওয়ামী লীগের সক্রিয়তা হারিয়ে গেল। ভালো ত্যাগী নেতা-নেত্রীরা ঝড়ে পড়লেন। সব সাইড লাইন হয়ে গেল। তখন উনার একটি পরিবারতন্ত্র কায়েম করলেন, আওয়ামী লীগের ব্যানার টানানো শুরু করলেন, মুক্তিযুদ্ধের ব্যানার ব্যবহার করলেন।’

শেখ পরিবার যাতে আর দলে ফিরতে না পারে দলের ভেতর সেই ডাক তোলার আহ্বান জানিয়ে শারমিন আহমদ বলেন, এটা একটি মাফিয়া দলে পরিণত হয়েছিল। এদের বৈশিষ্ট্য হলো যখন লুটপাট, খুন, রাহাজানি, অর্থপাচার এগুলোর সাথে জড়িত থাকে। এগুলা যদি চিহ্নিত করতে পারেন, যারা আওয়ামী লীগের সংস্কার চান, তারা ডাক তুলুন- শেখ পরিবার যেন আওয়ামী লীগে আর না থাকতে পারে। এনারা অত্যন্ত ক্ষতি করেছেন আমাদের দেশের, বিরাট বড় ক্ষতি।

শারমিন আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আংশিকভাবে তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ। যাতে শেখ পরিবারের ইতিহাসই প্রাধান্য পেয়েছে। আত্মোপলব্ধি থেকে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেতাদের বিচারের মুখোমুখি হওয়ারও আহ্বান জানান তাজউদ্দিন কন্যা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শারমিন আহমেদ বলেন, গত ১৬ বছরে এই সরকার আমাদের ব্যর্থ করেছে।

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দিশেহারা ছিল আওয়ামী লীগ। এর প্রায় ৫০ বছর পর আবারও সংকটে দলটি। আর যখনই সংকট, তখনই ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তাজউদ্দীন পরিবার।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ট্রাকভর্তি জীবিত গলদা চিংড়ি চুরি

শেখ পরিবার যেন আ.লীগে আর না থাকতে পারে: তাজউদ্দীনের মেয়ে

প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

শেখ পরিবার যেন আওয়ামী লীগে আর থাকতে না পারে- এমন মন্তব্য করেছেন তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগকে হাইজ্যাক করে শেখ পরিবার। তারা স্বাধীনতার চেতনা ও দলীয় ব্যানারে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছিল।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ছিন্নভিন্ন আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াতে রাজি নন তাজউদ্দিন পরিবার। দুর্নীতিগ্রস্ত দলটিকে উজ্জীবিত করা সহজ নয়, মন্তব্য করে তাজউদ্দীনের মেয়ে শারমিন আহমদ জানান, ৭৫’এর পর তার মা যখন আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে আসতে শুরু করেন, তখন দিল্লি থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ আর দল থাকল না, পরিবারের হয়ে গেল।

শারমিন আহমদ বলেন, এটা খুব কষ্টের ব্যাপার যে উনি (শেখ হাসিনা) একটা পরিবার লীগ গঠন করে ছিলেন। উনি যখন নেতৃত্বটা নিলেন তখন আওয়ামী লীগের সক্রিয়তা হারিয়ে গেল। ভালো ত্যাগী নেতা-নেত্রীরা ঝড়ে পড়লেন। সব সাইড লাইন হয়ে গেল। তখন উনার একটি পরিবারতন্ত্র কায়েম করলেন, আওয়ামী লীগের ব্যানার টানানো শুরু করলেন, মুক্তিযুদ্ধের ব্যানার ব্যবহার করলেন।’

শেখ পরিবার যাতে আর দলে ফিরতে না পারে দলের ভেতর সেই ডাক তোলার আহ্বান জানিয়ে শারমিন আহমদ বলেন, এটা একটি মাফিয়া দলে পরিণত হয়েছিল। এদের বৈশিষ্ট্য হলো যখন লুটপাট, খুন, রাহাজানি, অর্থপাচার এগুলোর সাথে জড়িত থাকে। এগুলা যদি চিহ্নিত করতে পারেন, যারা আওয়ামী লীগের সংস্কার চান, তারা ডাক তুলুন- শেখ পরিবার যেন আওয়ামী লীগে আর না থাকতে পারে। এনারা অত্যন্ত ক্ষতি করেছেন আমাদের দেশের, বিরাট বড় ক্ষতি।

শারমিন আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আংশিকভাবে তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ। যাতে শেখ পরিবারের ইতিহাসই প্রাধান্য পেয়েছে। আত্মোপলব্ধি থেকে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেতাদের বিচারের মুখোমুখি হওয়ারও আহ্বান জানান তাজউদ্দিন কন্যা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শারমিন আহমেদ বলেন, গত ১৬ বছরে এই সরকার আমাদের ব্যর্থ করেছে।

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দিশেহারা ছিল আওয়ামী লীগ। এর প্রায় ৫০ বছর পর আবারও সংকটে দলটি। আর যখনই সংকট, তখনই ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তাজউদ্দীন পরিবার।