সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করিনি’

ছবি: সংগৃহীত

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকারীদের কিছু যায় আসে না।

তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিছু যায় আসে না। ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেকে বলছেন আওয়ামী লীগ বোধহয় ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এ বিপ্লবে বিদেশি কোনো সমর্থন ছিল না। এ বিপ্লব সম্পূর্ণভাবেই আমাদের বিপ্লব। কাজেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্প না বাইডেন না কমলা হ্যারিস আসলো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)  জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে লেখক সাহাদত হোসেন খান এর ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্রজনতার শক্তিতে বিপ্লব করেছি, কোনো বিদেশি শক্তিতে করিনি। আমরা ওয়াশিংটনকে থোড়াই কেয়ার করি। সুতরাং ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসলে আমাদের বিপ্লব ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা কথিত ফ্যাসিবাদ আবার চলে আসবে এটা বিশ্বাস করি না। এটা যদি আমি বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের তাহলে আমাদের মহান শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হবে। তারা জীবন দিয়েছে শক্তিশালী আত্মনির্ভর জাতি গড়ে তোলার জন্য। যে জাতি ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। তাই ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে ভারতের একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আর সেখান থেকে আমাদের দ্বিতীয়বার মুক্তি দিয়েছে আমাদের তরুণ সমাজ। আমাদের তরুণ ছাত্র-জনতা। আমরা শুধু ছাত্রের কথা বলি কিন্তু এটা বলতে গিয়ে আমরা যেন সাধারণ জনগণের কথা ভুলে না যাই, আমরা যেন শ্রমিকদের কথা ভুলে না যাই।

জাতীয় সংহতি দিবস স্মরণ করে মাহমুদুর রহমান বলেন,  ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর আমরা সিপাহী জনতার বিপ্লব দেখেছি। যে অসাধারণ বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হয়েছিল। সে অভ্যুত্থান এর মাধ্যমে সব বাংলাদেশি প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করে।

নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনাপ্রধান (অব) লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূরুদ্দিন খান। উপস্থিত ছিলেন লেখক সাহাদত হোসেন খান।

জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

‘ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করিনি’

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকারীদের কিছু যায় আসে না।

তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিছু যায় আসে না। ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেকে বলছেন আওয়ামী লীগ বোধহয় ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এ বিপ্লবে বিদেশি কোনো সমর্থন ছিল না। এ বিপ্লব সম্পূর্ণভাবেই আমাদের বিপ্লব। কাজেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্প না বাইডেন না কমলা হ্যারিস আসলো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)  জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে লেখক সাহাদত হোসেন খান এর ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্রজনতার শক্তিতে বিপ্লব করেছি, কোনো বিদেশি শক্তিতে করিনি। আমরা ওয়াশিংটনকে থোড়াই কেয়ার করি। সুতরাং ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসলে আমাদের বিপ্লব ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা কথিত ফ্যাসিবাদ আবার চলে আসবে এটা বিশ্বাস করি না। এটা যদি আমি বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের তাহলে আমাদের মহান শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হবে। তারা জীবন দিয়েছে শক্তিশালী আত্মনির্ভর জাতি গড়ে তোলার জন্য। যে জাতি ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। তাই ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে ভারতের একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আর সেখান থেকে আমাদের দ্বিতীয়বার মুক্তি দিয়েছে আমাদের তরুণ সমাজ। আমাদের তরুণ ছাত্র-জনতা। আমরা শুধু ছাত্রের কথা বলি কিন্তু এটা বলতে গিয়ে আমরা যেন সাধারণ জনগণের কথা ভুলে না যাই, আমরা যেন শ্রমিকদের কথা ভুলে না যাই।

জাতীয় সংহতি দিবস স্মরণ করে মাহমুদুর রহমান বলেন,  ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর আমরা সিপাহী জনতার বিপ্লব দেখেছি। যে অসাধারণ বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হয়েছিল। সে অভ্যুত্থান এর মাধ্যমে সব বাংলাদেশি প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করে।

নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনাপ্রধান (অব) লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূরুদ্দিন খান। উপস্থিত ছিলেন লেখক সাহাদত হোসেন খান।