রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনাপোলে কমছে পাসপোর্ট যাত্রী পারপার, রাজস্ব আদায়ে বড় ধস

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ক্রমাগত কমছে। ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করায়, যাত্রী পারাপারের সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে এই পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে।

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবার ভারতে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমণ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আসে। আগস্টের আগে, মাসে গড় আয় ছিল ১৫ কোটি টাকা, কিন্তু বর্তমানে এই আয় ৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। একই সঙ্গে, পূর্বে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতো, কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে।

বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায়, বেশিরভাগ পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিশেষ করে, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের সংখ্যা বেশি। তবে, ট্যুরিস্ট, বিজনেস এবং স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কোনো যাত্রী এখন খুবই কম। ভারত সরকার ভিসা দেওয়া বন্ধ করায়, চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছি।বর্তমানে ভিসার খুব সমস্যা। আবেদনের দীর্ঘদিন পর কোন রকম চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা পেলেও ভ্রমন ভিসা একদমই নেই। আগামী দিনে আর ভিসা পাব কিনা সন্দেহ আছে।

ভারতগামী যাত্রী স্বপ্না দাস বলেন, আগে থেকে জানতাম ইমিগ্রেশনে অনেক মানুষজন থাকে। অনেক ভিড় থাকতো। কিন্তু আজ এসে দেখলাম মানুষজন একেবারে নাই বললেই চলে। আমরা খুব নিরিবিলি যাচ্ছি। এখন যেহেতু ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।আমাদের ভিসা শেষ পর্যায়ে। পরবর্তীতে আর ভিসা পাবকিনা জানিনা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন,বেনাপোল  চেকপোস্ট দিয়ে পূর্বে ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতো। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় এ্যাম্বেসি ভিসা না দেওয়ায় যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে।

জনপ্রিয়

শিল্পা শেঠির আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ভাইরাল, নিলেন বড় পদক্ষেপ

বেনাপোলে কমছে পাসপোর্ট যাত্রী পারপার, রাজস্ব আদায়ে বড় ধস

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ক্রমাগত কমছে। ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করায়, যাত্রী পারাপারের সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে এই পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে।

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবার ভারতে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমণ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আসে। আগস্টের আগে, মাসে গড় আয় ছিল ১৫ কোটি টাকা, কিন্তু বর্তমানে এই আয় ৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। একই সঙ্গে, পূর্বে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতো, কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে।

বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায়, বেশিরভাগ পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিশেষ করে, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের সংখ্যা বেশি। তবে, ট্যুরিস্ট, বিজনেস এবং স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কোনো যাত্রী এখন খুবই কম। ভারত সরকার ভিসা দেওয়া বন্ধ করায়, চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছি।বর্তমানে ভিসার খুব সমস্যা। আবেদনের দীর্ঘদিন পর কোন রকম চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা পেলেও ভ্রমন ভিসা একদমই নেই। আগামী দিনে আর ভিসা পাব কিনা সন্দেহ আছে।

ভারতগামী যাত্রী স্বপ্না দাস বলেন, আগে থেকে জানতাম ইমিগ্রেশনে অনেক মানুষজন থাকে। অনেক ভিড় থাকতো। কিন্তু আজ এসে দেখলাম মানুষজন একেবারে নাই বললেই চলে। আমরা খুব নিরিবিলি যাচ্ছি। এখন যেহেতু ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।আমাদের ভিসা শেষ পর্যায়ে। পরবর্তীতে আর ভিসা পাবকিনা জানিনা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন,বেনাপোল  চেকপোস্ট দিয়ে পূর্বে ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতো। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় এ্যাম্বেসি ভিসা না দেওয়ায় যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে।