
গাইবান্ধায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন পুলিশ সুপারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলির নির্দেশের অভিযোগে সোমবার বাদী হয়ে আমলী আদালতে এ মামলা করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের দর্জি ওয়াহেদুর রহমান। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে গাইবান্ধা পিবিআইকে তদন্তের নিদের্শ দিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী রেজওয়ানুল হক মণ্ডল।
তিনি বলেন, আদাতের বিচারক আবদুল মতিন মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অন্য নয়জন আসামি হলেন, তৎকালীন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কামাল হোসন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম, সদর থানার ওসি মাসুদ রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মণ্ডল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার সাঈদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক মামুন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিল চলছিল। মিছিলটি গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোড হয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে সার্কিট হাউসের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে তৎকালীন পুলিশ সুপারের সরাসরি হুকুমে মিছিলে গুলি চালাতে থাকে। এতে মামলার বাদী ওয়াহেদুর রহমানসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসা চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জন আহত ব্যক্তিদের ওপর হামলা করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। শরীরে গুলি নিয়েই বাদীসহ আহত ব্যক্তিরা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
চিকিৎসায় সুস্থ হতে কিছু সময় চলে যাওয়ায় মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি 







































