বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোসেনপুরে আগাম জাতের রোপা আমনে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে রোপা-আমন মৌসুমের আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাঠে মাঠে চলছে ধানকাটার ধুম। ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাড়ির উঠোনে দিনরাত কাজ করে চলেছেন।

বীজ, সার ও কীটনাশক ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার এ উপজেলায় আমন আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

এদিকে উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু  হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আগাম জাতের  ধান কাটা শুরু করা ধানের মধ্যে ৪৯জাতের ধানের বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ১৬-১৮ মণ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে চলতি মৌসুমের রোপা-আমন ফসল সম্পর্কে এসব তথ্য ওঠে আসে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি  ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আগামজাতের ধান কাটা শুরু করেছেন।

উপজেলার পুমদী  ইউনিয়নের জগদল গ্রামের রিপন, আলামিন, পুমদী মোড়ল বাড়ি গ্রামের নিপেল, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের  উত্তর পানান গ্রামের আরিফুল আলম, ডাংরি গ্রামের  উজ্জ্বল ও ফারুক, কামরুল ইসলাম সহ একাধিক কৃষক জানান, এবছর রোপা-আমনের ক্ষেতে তেমন রোগবালাই ছিল না। ফলে অনেক কীটনাশক কম ব্যবহার করতে হয়েছে।

শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও শেষমুর্হুতে অতি বৃষ্টির কারণে ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ৪৯জাতের ধানে। তাই কাঙ্ক্ষিত ফলন না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানান, হোসেনপুর উপজেলা  নান্দানিয়া গ্রামে আব্দুল রহিম।

এ বছর  হোসেনপুর উপজেলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন কৃষি অফিস। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে ৮ হাজার চারশত ৭৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার একে.এম শাহজাহান কবির জানান, শতকরা ৩০ ভাগ জমিতে বিনা ১৭, ব্রি ধান-৪৯, ১০৩, ৯০, ৭৫ জাতের ধান লাগানো হয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট ৭০ ভাগ জমিতে স্বর্ণা, গোল্ডেন আতব, কাটারী ও হাইব্রিড জাতের ধান লাগানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই বিনা-১৭, ব্রি ধান-৭৫ ও ৯০ জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে ধান ক্ষেতে রোগ বালাই কম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।

জনপ্রিয়

বেগম জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ৩ বাহিনী প্রধান

হোসেনপুরে আগাম জাতের রোপা আমনে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশের সময় : ১০:০৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে রোপা-আমন মৌসুমের আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাঠে মাঠে চলছে ধানকাটার ধুম। ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাড়ির উঠোনে দিনরাত কাজ করে চলেছেন।

বীজ, সার ও কীটনাশক ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার এ উপজেলায় আমন আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

এদিকে উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু  হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আগাম জাতের  ধান কাটা শুরু করা ধানের মধ্যে ৪৯জাতের ধানের বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ১৬-১৮ মণ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে চলতি মৌসুমের রোপা-আমন ফসল সম্পর্কে এসব তথ্য ওঠে আসে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি  ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আগামজাতের ধান কাটা শুরু করেছেন।

উপজেলার পুমদী  ইউনিয়নের জগদল গ্রামের রিপন, আলামিন, পুমদী মোড়ল বাড়ি গ্রামের নিপেল, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের  উত্তর পানান গ্রামের আরিফুল আলম, ডাংরি গ্রামের  উজ্জ্বল ও ফারুক, কামরুল ইসলাম সহ একাধিক কৃষক জানান, এবছর রোপা-আমনের ক্ষেতে তেমন রোগবালাই ছিল না। ফলে অনেক কীটনাশক কম ব্যবহার করতে হয়েছে।

শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও শেষমুর্হুতে অতি বৃষ্টির কারণে ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ৪৯জাতের ধানে। তাই কাঙ্ক্ষিত ফলন না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানান, হোসেনপুর উপজেলা  নান্দানিয়া গ্রামে আব্দুল রহিম।

এ বছর  হোসেনপুর উপজেলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন কৃষি অফিস। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে ৮ হাজার চারশত ৭৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার একে.এম শাহজাহান কবির জানান, শতকরা ৩০ ভাগ জমিতে বিনা ১৭, ব্রি ধান-৪৯, ১০৩, ৯০, ৭৫ জাতের ধান লাগানো হয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট ৭০ ভাগ জমিতে স্বর্ণা, গোল্ডেন আতব, কাটারী ও হাইব্রিড জাতের ধান লাগানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই বিনা-১৭, ব্রি ধান-৭৫ ও ৯০ জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে ধান ক্ষেতে রোগ বালাই কম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।