বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, চিরকুটে যা ছিল

ছবি: সংগৃহীত

চার বছরের শিশু মুশফিকাকে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে হত্যার পর মা জুলেখা খাতুন (২৪) ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপোইল পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আব্দুল মমিনের স্ত্রী জুলেখা বেগম (২৪) ও তাদের সন্তান মুশফিকা খাতুন। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চিরকুটে লেখা ছিল- আমি আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলাম। আমাদের এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কাহালু থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, জুলেখার স্বামী আব্দুল মমিন সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান, দুপুরে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা বাড়ি গিয়ে ডাকাডাকির পর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পান। প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে জুলেখার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এবং বিছানায় শিশুকন্যা মুশফিকার মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা থানা পুলিশের খবর দেন।

জুলেখার স্বামী আব্দুল মোমিন জানান, তাদের কোনো কলহ ছিল না। তবে তার স্ত্রীর প্রচণ্ড রাগ ছিল। তার ধারণা, শাসনের জন্য মারপিট করলে মুশফিকা মারা যায়। তখন জুলেখা গামছা দিয়ে মেয়ে মুশফিকার মুখ বাঁধে ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেয়। এরপর সে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) ওমর আলী, কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন।

জনপ্রিয়

রাণীশংকৈলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, থানায় মামলা 

আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, চিরকুটে যা ছিল

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চার বছরের শিশু মুশফিকাকে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে হত্যার পর মা জুলেখা খাতুন (২৪) ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপোইল পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আব্দুল মমিনের স্ত্রী জুলেখা বেগম (২৪) ও তাদের সন্তান মুশফিকা খাতুন। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চিরকুটে লেখা ছিল- আমি আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলাম। আমাদের এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কাহালু থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, জুলেখার স্বামী আব্দুল মমিন সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান, দুপুরে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা বাড়ি গিয়ে ডাকাডাকির পর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পান। প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে জুলেখার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এবং বিছানায় শিশুকন্যা মুশফিকার মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা থানা পুলিশের খবর দেন।

জুলেখার স্বামী আব্দুল মোমিন জানান, তাদের কোনো কলহ ছিল না। তবে তার স্ত্রীর প্রচণ্ড রাগ ছিল। তার ধারণা, শাসনের জন্য মারপিট করলে মুশফিকা মারা যায়। তখন জুলেখা গামছা দিয়ে মেয়ে মুশফিকার মুখ বাঁধে ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেয়। এরপর সে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) ওমর আলী, কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন।