বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড আসামি আরিফ বিল্লা।

গাইবান্ধায় ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই শহিদুল ইসলামের হত্যার ঘটনায় ছোট ভাই আরিফ বিল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার হাসানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই আরিফ বিল্লাহ এবং মা হামিদা বেগমের সাথে তর্ক লাগে। এক পর্যায়ে ছোট ভাই রাইস কুকারে লাথি মারলে  উপরের অংশ ভেঙ্গে যায়। পরে বড় ভাই শহিদুল ইসলাম ছোট ভাইয়ের কাছে রাইস কুকার ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে ছোট ভাই আরিফ উত্তেজিত হয়ে বারান্দায় থাকা কাঠের বাতি দিয়ে বড় ভাই শহিদুলের মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর মারা যান শহিদুল ইসলাম।

এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী তাসফুরা আক্তার বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সাদুল্যাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দীর্ঘ শুনানি শেষে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আতিকুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।

এ রায়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি নিরঞ্জন কুমার ঘোষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবি আবু আলা সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধায় ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই শহিদুল ইসলামের হত্যার ঘটনায় ছোট ভাই আরিফ বিল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার হাসানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই আরিফ বিল্লাহ এবং মা হামিদা বেগমের সাথে তর্ক লাগে। এক পর্যায়ে ছোট ভাই রাইস কুকারে লাথি মারলে  উপরের অংশ ভেঙ্গে যায়। পরে বড় ভাই শহিদুল ইসলাম ছোট ভাইয়ের কাছে রাইস কুকার ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে ছোট ভাই আরিফ উত্তেজিত হয়ে বারান্দায় থাকা কাঠের বাতি দিয়ে বড় ভাই শহিদুলের মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর মারা যান শহিদুল ইসলাম।

এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী তাসফুরা আক্তার বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সাদুল্যাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দীর্ঘ শুনানি শেষে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আতিকুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।

এ রায়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি নিরঞ্জন কুমার ঘোষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবি আবু আলা সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।