বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজির সময় বন কর্মকর্তাকে গণধোলাই, পুলিশে সোপর্দ

সিরাজগঞ্জে বন কর্মকর্তা পরিচয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজীর সময় জনতার হাতে আটক হয়েছেন যমুনা ইকো পার্কের বন পাহাড়াদার রিপন মিয়া। সে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার জারিলা মধ্য পাড়া গ্রামের আবু সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহষ্পতিবার মধ্য রাতে শহরের রহমতগঞ্জ কবরস্থানের সামনে ফার্ণিচার বোঝাই ৬জন ট্রাক পিকআপের চালকের নিকট থেকে নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অবৈধ ফার্ণিচার পরিবহনের কথা বলে ভয় দেখিয়ে গাড়ি প্রতি ১ হাজার করে টাকা দাবী করেন। কিন্তু চালকদের তার পরিচয় সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করেন। তখন রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে চালকদের মামলার ভয় ও পিকআপ গুলো আটকে রাখে। এতে চালকদের সাথে তার বাকতিন্ডার হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোক এগিয়ে এলে রিপন পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। তখন রিপন নিজেকে বন কর্মকর্তা নয় নিজের আসল পরিচয় যমুনা সেতু পশ্চিম ইকো পার্কের বন পাহাড়াদার বলে স্বীকার করেন। ঘটনা জানাজানির পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলে চালক ও স্থানীয় লোকজন রিপনকে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর)। বিকেলে চালক মোকলেছুর রহমানসহ ৬ চালক বাদি হয়ে রিপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করলে ধৃত রিপনকে আদালতে পাঠানো হয়। রিপন দীর্ঘ দিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে চলাচলকারী কাঠবাহি গাড়ীর চালকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জনপ্রিয়

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শতাধিক

চাঁদাবাজির সময় বন কর্মকর্তাকে গণধোলাই, পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশের সময় : ০৫:২০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
সিরাজগঞ্জে বন কর্মকর্তা পরিচয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজীর সময় জনতার হাতে আটক হয়েছেন যমুনা ইকো পার্কের বন পাহাড়াদার রিপন মিয়া। সে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার জারিলা মধ্য পাড়া গ্রামের আবু সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহষ্পতিবার মধ্য রাতে শহরের রহমতগঞ্জ কবরস্থানের সামনে ফার্ণিচার বোঝাই ৬জন ট্রাক পিকআপের চালকের নিকট থেকে নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অবৈধ ফার্ণিচার পরিবহনের কথা বলে ভয় দেখিয়ে গাড়ি প্রতি ১ হাজার করে টাকা দাবী করেন। কিন্তু চালকদের তার পরিচয় সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করেন। তখন রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে চালকদের মামলার ভয় ও পিকআপ গুলো আটকে রাখে। এতে চালকদের সাথে তার বাকতিন্ডার হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোক এগিয়ে এলে রিপন পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। তখন রিপন নিজেকে বন কর্মকর্তা নয় নিজের আসল পরিচয় যমুনা সেতু পশ্চিম ইকো পার্কের বন পাহাড়াদার বলে স্বীকার করেন। ঘটনা জানাজানির পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলে চালক ও স্থানীয় লোকজন রিপনকে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর)। বিকেলে চালক মোকলেছুর রহমানসহ ৬ চালক বাদি হয়ে রিপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করলে ধৃত রিপনকে আদালতে পাঠানো হয়। রিপন দীর্ঘ দিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে চলাচলকারী কাঠবাহি গাড়ীর চালকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।