
সুভাষ দত্ত। বাংলাদেশি বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, সিনেমা চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা। আজ ১৬ নভেম্বর তার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিন তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি দেন।
সুভাষ দত্ত ষাটের দশক থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ। তার কর্মজীবনের শুরু হয়েছিল সিনেমার পোস্টার এঁকে। এ দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ‘মাটির পাহাড়’ চলচ্চিত্রে আর্ট ডিরেকশনের মধ্য দিয়ে তার পরিচালনা জীবন শুরু হয়। এরপর তিনি এহতেশাম পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ ছবিতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)। সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ও আমার ছেলে’ (২০০৮) সালে মুক্তি লাভ করে।
তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য আরো কিছু সিনেমা হলো আবির্ভাব (১৯৬৮), আলিঙ্গন (১৯৬৯), বিনিময় (১৯৭০), অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২), বসুন্ধরা (১৯৭৭)। তার অভিনীত কিছু সিনেমা হলো ‘হারানো দিন’, ‘সুতরাং’ ‘ক্যায়সে কুহু’, ‘নয়া মিছিল’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘ডুমুরের ফুল’ ও ‘রাজধানীর বুকে’।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৭৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ প্রযোজক-পরিচালকের পুরস্কারে ভূষিত করে। এবং ১৯৯৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে। এ ছাড়া তিনি দেশি-বিদেশি অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছিলেন।
সুভাষ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন মামার বাড়িতে ১৯৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের মুন্সিপাড়া নামক স্থানে। তার পৈতৃক বাসস্থান বগুড়া জেলার চকরতি গ্রামে। বসবাস করতেন পুরান ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের নিজবাড়িতে।
বিনোদন ডেস্ক 






































