সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার ৩ দিন পর ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ছবি-সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার তিন দিন পর ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাইদুর রহমান রয়েল (৪৫) উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ওই ইউনিয়নের দাওসা গ্রামের সাবেক ইউপি চোয়ারম্যান মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেকের বাসার তিন তালায় এক বছর যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাস করার পর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গত বুধবার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নাছিমাকে বেঁধে রাখে চেয়ারম্যান রয়েল। পরে নাছিমার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে চেয়ারম্যানের রুমের দরজা ও তার ফোন বন্ধ পায় তার বোন। শনিবার চেয়ারম্যানকে খুঁজতে তার বোন বাসায় আসে। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুকনুজ্জামান বলেন, তাদের ধারণা দুই দিন আগে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কারণ, মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জনপ্রিয়

‘মোংলা বন্দরের  শ্রেষ্ঠ কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পুরস্কার পেল জুলফিকার আলীর প্রতিষ্ঠান’

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার ৩ দিন পর ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার তিন দিন পর ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাইদুর রহমান রয়েল (৪৫) উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ওই ইউনিয়নের দাওসা গ্রামের সাবেক ইউপি চোয়ারম্যান মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেকের বাসার তিন তালায় এক বছর যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাস করার পর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গত বুধবার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নাছিমাকে বেঁধে রাখে চেয়ারম্যান রয়েল। পরে নাছিমার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে চেয়ারম্যানের রুমের দরজা ও তার ফোন বন্ধ পায় তার বোন। শনিবার চেয়ারম্যানকে খুঁজতে তার বোন বাসায় আসে। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুকনুজ্জামান বলেন, তাদের ধারণা দুই দিন আগে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কারণ, মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।