
যশোরে বাসের হেলপার বাপ্পি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রানা সরদার (২১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ওই যুবককে গ্রেপ্তার পরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগা মোড় থেকে ডিবি পুলিশ রানা নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু-মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামি রানা যশোর সদর উপজেলার হুগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আরিফুল সর্দারের ছেলে।
যশোর পুলিশের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল শনিবার সকালে যশোর মনিহার সিনেমা হল এলাকার মনির উদ্দিন ফিলিং ষ্টেশনের সামনে রাস্তার ওপর সরদার ট্রাভেলস নামক বাসের হেলপার বাপ্পিকে বাসের ভিতরে রাতে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। পরে পুলিশ বাপ্পির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আজ (রবিবার) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে
যশোর ডিবি পুলিশের একটি দল বাঘারপাড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধলগা মোড়ে বিকেল ৫ টার দিকে সরদার ট্রাভেলস এর অন্য আরেকটি গাড়ির হেলপার রানা সরদারকে তার ব্যবহৃত মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং তথ্য দেন। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা চাকু ও বাসটি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যশোর লোহাপট্টি পতিতা পল্লীর এক মেয়ে সাদিয়া আক্তার পপির সঙ্গে রানা সরদারের প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়।পরে রানা ওই মেয়ের সঙ্গে বাপ্পির পরিচয় করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে বাপ্পি ওই মেয়ের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে কথা বলতে থাকে। ওইদিন দু-জনের নাম্বার ব্যস্ত পেয়ে রানার সন্দেহ হয় এবং পরিকল্পনা করে শনিবার গভীর রাতে বাসের জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত বাপ্পিকে চাকু দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করে রানা।
যশোর প্রতিনিধি 







































