
৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ফজলুল করিম হত্যা মামলায় এ রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ নভেম্বর) তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ। এ ছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনুকে মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, পল্টন, মিরপুর ও উত্তরা পশ্চিম থানার একাধিক মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে, সকালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমান তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পাশে জসিম উদ্দিন মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ফজলুল করিম। এ সময় তিনিসহ আরো অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ফজলুল করিম। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন আয়নাল (৪৪) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের নামে গত ২১ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আনিসুল হক এজাহারনামীয় চার নম্বর আসামি।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে ‘পলায়নরত অবস্থায়’ রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও গ্রেপ্তার করা হয়। নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরের দিন ১৪ আগস্ট তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরপর কয়েক দফা রিমান্ড শেষে পুনরায় (৩০ অক্টোবর) শাহবাগ থানার ভোটচুরির মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেয় আদালত। এরপর ১৫ নভেম্বর কারাগারে পাঠায় আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদক 







































