বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বাইডেন

ছবি-সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিয়েছেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাইডেন তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ক্ষমার ঘোষণা দেন।

এর আগে ছেলের আইন বহির্ভূত কমর্কাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এই ঘোষণায় আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রেসিন্ডেন্ট পদের মেয়াদ ফুরিয়ে আসার আগেই নির্বাহী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ছেলের সাজা মওকুফ করিয়ে বাইডেন আইনের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করছেন সমালোচকরা।

তবে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাইডেনের যুক্তি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণের শিকার হান্টার।

তিনি বলেন, ‘সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন যেকোনো ব্যক্তি এই ঘটনা বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন, আমার সন্তান বলে হান্টারের সাজা মওকুফ করা হয়নি। হান্টারকে আক্রমণের মাধ্যমে বিরোধীপক্ষ আসলে আমাকেই দুর্বল করতে চেয়েছে। এসব আর মেনে নেওয়া যায় না।’

এই আনুষ্ঠানিক ক্ষমা ঘোষণার পর ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সব অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পেলেন হান্টার।

বাইডেন জানান, পারিবারিক আলোচনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি।

এই সিদ্ধান্তে বাবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে হান্টার বলেন, ‘আমার জীবনের খুব খারাপ একটা সময় পার করে এসেছি। সবকিছু স্বীকার করেই নিজের দায়িত্ব নিচ্ছি। জীবন থেকে পাওয়া এই সুযোগকে অবহেলা করব না এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’

২০২৪ সালে দুইটি মামলায় অভিযুক্ত হন হান্টার। ২০১৮ সালে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় একটি বন্দুক কেনার ব্যাপারে গত জুন মাসে আদালতকে মিথ্যা বলার অভিযোগ ওঠে তার ওপর। সেপ্টেম্বরে ৯টি আয়কর-বিষয়ক অপরাধে অভিযুক্ত হন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে ভাইয়ের মৃত্যুর পর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

হান্টারের ক্ষমা ঘোষণার পর ডেমোক্র্যাটরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে রিপাবলকানদের অভিযোগ, বাইডেন পরিবারের মধ্যে দুর্নীতির প্রথা নতুন কিছু না। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

জনপ্রিয়

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বাইডেন

প্রকাশের সময় : ১১:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিয়েছেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাইডেন তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ক্ষমার ঘোষণা দেন।

এর আগে ছেলের আইন বহির্ভূত কমর্কাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এই ঘোষণায় আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রেসিন্ডেন্ট পদের মেয়াদ ফুরিয়ে আসার আগেই নির্বাহী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ছেলের সাজা মওকুফ করিয়ে বাইডেন আইনের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করছেন সমালোচকরা।

তবে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাইডেনের যুক্তি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণের শিকার হান্টার।

তিনি বলেন, ‘সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন যেকোনো ব্যক্তি এই ঘটনা বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন, আমার সন্তান বলে হান্টারের সাজা মওকুফ করা হয়নি। হান্টারকে আক্রমণের মাধ্যমে বিরোধীপক্ষ আসলে আমাকেই দুর্বল করতে চেয়েছে। এসব আর মেনে নেওয়া যায় না।’

এই আনুষ্ঠানিক ক্ষমা ঘোষণার পর ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সব অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পেলেন হান্টার।

বাইডেন জানান, পারিবারিক আলোচনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি।

এই সিদ্ধান্তে বাবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে হান্টার বলেন, ‘আমার জীবনের খুব খারাপ একটা সময় পার করে এসেছি। সবকিছু স্বীকার করেই নিজের দায়িত্ব নিচ্ছি। জীবন থেকে পাওয়া এই সুযোগকে অবহেলা করব না এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’

২০২৪ সালে দুইটি মামলায় অভিযুক্ত হন হান্টার। ২০১৮ সালে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় একটি বন্দুক কেনার ব্যাপারে গত জুন মাসে আদালতকে মিথ্যা বলার অভিযোগ ওঠে তার ওপর। সেপ্টেম্বরে ৯টি আয়কর-বিষয়ক অপরাধে অভিযুক্ত হন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে ভাইয়ের মৃত্যুর পর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

হান্টারের ক্ষমা ঘোষণার পর ডেমোক্র্যাটরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে রিপাবলকানদের অভিযোগ, বাইডেন পরিবারের মধ্যে দুর্নীতির প্রথা নতুন কিছু না। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট