বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, পুলিশ সদস্যসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • যশোর অফিস 
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮৪

যশোর অফিস।।

যশোরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের একজন কর্মকর্তাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ভুক্তভোগী যশোর সদর উপজেলার হালসা গ্রামের ফারুক হোসেন এ মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন,কোতয়ালী থানা পুলিশের সাবেক এএসআই শেখ সুজাত আলী ও সদর উপজেলার হালসা গ্রামের শামছুজ্জামান মিলন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ফারুক হোসেন মামলায় উল্লেখ করেছেন,তিনি একজন ব্যবসায়ী। আসামি এএসআই শেখ সুজাত আলীর সহযোগিতায় অপর আসামি শামছুজ্জামান মিলন তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দেয়ায় ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে আসামি এএসআই শেখ সুজাত আলী এবং আসামি শামছুজ্জামান মিলনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২ জন পুলিশ সদস্য একটি মাইক্রোবাসে করে হালসা গ্রামে ফারুক হোসেনের বাড়িতে যান। এ সময় তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ফারুক হোসেনকে মারধর করেন এবং পরে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। তাকে পতেঙ্গালী গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে চোখ ও মুখ কলো কাপড় দিয়ে বেঁধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ফের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। তখন প্রাণ বাঁচাতে ভাই খোরশেদ আলীর কাছে মোবাইল ফোন করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন ফারুক হোসেন। এরপর খোরশেদ আলী ১০ লাখ টাকা নিয়ে পতেঙ্গালীর মাঠে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ টাকা নিয়েও একটি পেন্ডিং মামলায় চালান করে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সমাধিতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

যশোরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, পুলিশ সদস্যসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোর অফিস।।

যশোরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের একজন কর্মকর্তাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ভুক্তভোগী যশোর সদর উপজেলার হালসা গ্রামের ফারুক হোসেন এ মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন,কোতয়ালী থানা পুলিশের সাবেক এএসআই শেখ সুজাত আলী ও সদর উপজেলার হালসা গ্রামের শামছুজ্জামান মিলন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ফারুক হোসেন মামলায় উল্লেখ করেছেন,তিনি একজন ব্যবসায়ী। আসামি এএসআই শেখ সুজাত আলীর সহযোগিতায় অপর আসামি শামছুজ্জামান মিলন তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দেয়ায় ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে আসামি এএসআই শেখ সুজাত আলী এবং আসামি শামছুজ্জামান মিলনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২ জন পুলিশ সদস্য একটি মাইক্রোবাসে করে হালসা গ্রামে ফারুক হোসেনের বাড়িতে যান। এ সময় তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ফারুক হোসেনকে মারধর করেন এবং পরে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। তাকে পতেঙ্গালী গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে চোখ ও মুখ কলো কাপড় দিয়ে বেঁধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ফের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। তখন প্রাণ বাঁচাতে ভাই খোরশেদ আলীর কাছে মোবাইল ফোন করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন ফারুক হোসেন। এরপর খোরশেদ আলী ১০ লাখ টাকা নিয়ে পতেঙ্গালীর মাঠে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ টাকা নিয়েও একটি পেন্ডিং মামলায় চালান করে।