
দুই নারী জুতাপেটা করেছেন দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কোর্ট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী জুতা হাতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যকে মারধর করছেন। মারধরে তার সঙ্গে যোগ দেন আরেক নারী। মারধর করে ওই দুই নারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকালে মসজিদের মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। তখন স্টেশনে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ে। স্থানীয়রা বলেন, ওই দুই নারী একটি বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত যানজট থাকায় রিকশায় থাকা দুই নারীর রিকশা আটকে দেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কনস্টেবল। তবে তারা ট্রেনের সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ কনস্টেবল। সেখান থেকেই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
স্থানীয় একটি ফার্মেসির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই দুই নারীর সাথে থাকা শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাফিক পুলিশের দিকে তেড়ে এসে প্রথমে একজন ধাক্কা দেয়। এরপর আরেকজন ট্রাফিক পুলিশের মুখে জুতা দিয়ে আঘাত করে। তারপর তাদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঠেকালে ওই দুই নারী চলে যায়।
এদিন বিকেলে ওই পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এজাহারে ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পরিচয় শনাক্ত করার পর শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহানা ইসলাম (৪৪) ও হাউসিং বি ব্লকের বাসিন্দা রিপন হোসেনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার শান্তা (৩৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শান্তার স্বামী রিপন জানান, সন্ধ্যায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা প্রথমে তাকে দোকান থেকে তুলে নেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে আটক করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, একজন মুরব্বি (বয়োজ্যেষ্ঠ) ট্রাফিক সদস্য ডিউটি করছিলেন। ট্রেন চলে আসায় লেভেল ক্রসিংয়ের বার নামিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় একজন নারী রেলপথ পার হওয়ার চেষ্টা করলে ওই পুলিশ সদস্য বাধা দেন। প্রথমে ওই নারী অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে আরেক নারীকে সঙ্গে নিয়ে এসে পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি 







































