
দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ইতিহাসে এই প্রথম টেন্ডার ক্রয়ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার মাইলফলক রচিত হয়েছে। এতে ঠিকাদাররা খুশি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স কনফারেন্স রুমে এ টেন্ডার ই-জিপি বা ডিজিটাল পদ্ধতি অনলাইনে দরপত্র ওপেন করা হয়।
এটেন্ডার ওপেন কার্যক্রম পরিচালনা করেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (উপজেলা প্রশাসক) রিনাত ফৌজিয়া ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে স্বৈরাচার পতন করে ও ছাত্র জনতার বিজয়ের মাধ্যমে আজ সম্ভব হয়েছে স্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়া । জুলাই বিজয়ের মাধ্যমে আমাদের এমন প্রতিফলন ঘটেছে। দলপত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা খুশি খুশি হয়েছেন এই ধরনের কর্মকাণ্ডে । তারা বলেছেন,ডিজিটাল অনলাইন পদ্ধতিতে টেন্ডার পদ্ধতিতে কে পেল ,কে পেল না এবিষয় টি সবার কাছে স্পষ্ট। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় টেন্ডার আহবান করা হলেও সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহন তো দূরের কথা সামনেও যাওয়ার সাহস পায়নি । আওয়ামী লীগের দোসর একই ব্যক্তি একাধিক টেন্ডার পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ।আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া কোন ব্যক্তিকে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করতে দেয়া হতো না। টেন্ডারে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারত না ।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান বলেন,কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন রাস্তা ঘাট সুয়ারেজ লাইন, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার দেয়াল মেরামতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কাজ হাতে নিয়েছে। এ উন্নয়ন কাজে প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে। তিনি জানান,গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টেন্ডার আহবান করা হয় এবং ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখ উম্মুক্ত ও জানুয়ারি ৬ তারিখ অনলাইন ডিজিটাল মাধ্যমে লটারি করা হয়। সর্বমোট ৩৭ টি টেন্ডারে গড়ে ৯০ জন করে ঠিকাদার অংশগ্রহণ করে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদে উন্নয়নে বিভিন্ন রাস্তা ঘাট সুয়ারেজ লাইন, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার দেয়াল মেরামতসহ উন্নয়ন কর্মসূচির কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো 






































