
শহিদ শেখ পাখি, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কাঁচাবাজার গুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দাম। বাজারের সবখানেই সবজিতে ভরপুর। ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বস্তি মিললেও দিশাহারা কৃষক। সার, তেল, কীটনাশক ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পর ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও দাম না পেয়ে মূলধন হারিয়ে কৃষকের মাথায় হাত। উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষিদের।
উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামের কৃষক মোঃ আলমগীর মোল্লার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি এক একর পঞ্চাশ শতাংশ জমিতে টমেটো, পুঁইশাক, বাঁধাকপি, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাষ করে এখন মূলধন হারাচ্ছেন।
গত রবিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু ২০ টাকা, টমেটো ২৫ – ২০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, ধনে পাতা ৬০, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি পিজ ১৫-২০ শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, এসব সবজী বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজার দরে। তাইতো সবজি চাষিদের বিক্রি করতে হচ্ছে আরো কম দামে পাইকারদের কাছে এজন্য কৃষকরা তাদের মূলধন হারাচ্ছে।
এ ছাড়া পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ ও কালাই শাক ৫০,টাকা আঁটি বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার মালখানগরের কৃষক হানিফ মোল্লা জানান, সবজির দাম কমায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসলে ও আমরা কৃষকরা সবজীর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছিনা হারাতে হচ্ছে আমাদের মূলধন যে আলু কয়দিন আগেও ৮০ টাকায় কিনতাম, সেই আলু এখন ২০ টাকায় পাচ্ছি।
একজন সবজির খুচরা বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ১৩ টাকা লাভ হতো। সেখানে দাম কমায় সবজির প্রতি কেজিতে লাভ হয় দুই থেকে পাঁচ টাকা। এমন অবস্থায় ক্রেতারাও যাতে সহনীয় দামে পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারাও স্বাভাবিক দাম রেখে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন, এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।
এই বিষয়ে একজন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন কৃষকরা আমাদের কাছে আসলে অবশ্যই আমরা খোঁজখবর রাখব এবং তাদের যতটুকু সহযোগিতা করার আমরা করব আমাদের না জানালে আমরা জানবো কিভাবে তাদের দিকে অবশ্যই সুনজর রাখবো।
শহিদ শেখ পাখি, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 







































