রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিয়ারত করতে গিয়ে দেখেন কবর খোঁড়া, ভেতরে লাশ নেই

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একটি কবরস্থান থেকে দুটি লাশ চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফজরের নামাজের পর স্বজনেরা কবর জিয়ারত করতে গেলে বিষয়টি ধরা পড়ে।

সরেজমিন পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটি কবর। এর একটি ওই ইউনিয়নের নগর সাঁওতা বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তার বিশ্বাসের স্ত্রী সাহারা খাতুনের, অন্যটি একই গ্রামের তপন বিশ্বাসের ছেলে রাতুল বিশ্বাসের। দুটি কবরই খোঁড়া, ভেতরে লাশ নেই।

সাহারা খাতুনের বড় ছেলে মনজুরুল হক বলেন, আমার মা ২০২৩ সালের ২১ জুন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার লাশ পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ৪০ দিন আগে বাবাও মারা গেছেন। বাবার লাশও এখানেই দাফন করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন নিয়মিত কবর জিয়ারত করে। আজ ভোরে ছোট ভাই রইসুল হক কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখতে পায়, কবর থেকে বাবার লাশ চুরি হয়েছে।

মনজুরুল হক আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই বাবা ও রাতুলের কবর খোঁড়া। কবরস্থান থেকে একটু দূরে ভুট্টা খেতে দুটি হাড় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশেই একটি পলিথিনে ট্রাউজার ও পানির বোতল পড়ে ছিল।

রাতুলের মা সোনিয়া খাতুন বলেন, রাতুল ছিল প্রতিবন্ধী। দুই বছর আগে সে মারা গেছে। তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। সকালে লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পেয়ে কবরস্থানে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার ছেলের কবরে লাশ নেই।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। যাদের লাশ চুরি হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জে বিএনপির তিন আসনে বিভক্তি, একক প্রার্থী নিয়ে মাঠে জামায়াত

জিয়ারত করতে গিয়ে দেখেন কবর খোঁড়া, ভেতরে লাশ নেই

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একটি কবরস্থান থেকে দুটি লাশ চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফজরের নামাজের পর স্বজনেরা কবর জিয়ারত করতে গেলে বিষয়টি ধরা পড়ে।

সরেজমিন পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটি কবর। এর একটি ওই ইউনিয়নের নগর সাঁওতা বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তার বিশ্বাসের স্ত্রী সাহারা খাতুনের, অন্যটি একই গ্রামের তপন বিশ্বাসের ছেলে রাতুল বিশ্বাসের। দুটি কবরই খোঁড়া, ভেতরে লাশ নেই।

সাহারা খাতুনের বড় ছেলে মনজুরুল হক বলেন, আমার মা ২০২৩ সালের ২১ জুন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার লাশ পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ৪০ দিন আগে বাবাও মারা গেছেন। বাবার লাশও এখানেই দাফন করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন নিয়মিত কবর জিয়ারত করে। আজ ভোরে ছোট ভাই রইসুল হক কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখতে পায়, কবর থেকে বাবার লাশ চুরি হয়েছে।

মনজুরুল হক আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই বাবা ও রাতুলের কবর খোঁড়া। কবরস্থান থেকে একটু দূরে ভুট্টা খেতে দুটি হাড় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশেই একটি পলিথিনে ট্রাউজার ও পানির বোতল পড়ে ছিল।

রাতুলের মা সোনিয়া খাতুন বলেন, রাতুল ছিল প্রতিবন্ধী। দুই বছর আগে সে মারা গেছে। তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। সকালে লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পেয়ে কবরস্থানে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার ছেলের কবরে লাশ নেই।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। যাদের লাশ চুরি হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।