শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

শীতে রকমারি রঙিন সবজি পাওয়া যায় বাজারে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাজর। এটি সবভাবেই খাওয়া যায়। কেউ রান্না করে তরকারি হিসেবে খেয়ে থাকেন, কেউ সালাদ করে খাদ্যতালিকায় রাখেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি ধুয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। যেভাবেই খাওয়া হোক, এতে অবশ্য উপকার মিলে।

শীতকালীন সবজি গাজরে যেমন উপকারিতা রয়েছে, আবার এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। গাজরের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা সাভারের ডিওএইচএসের প্রায়োরিটি হেলথ্ সার্ভিস বাংলাদেশের পুষ্টিবিদ শারমিন নকশী। এবার গাজর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক তাহলে।

উপকারিতা: গাজর ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ একটি সবজি। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।

গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে, যা হাড় গঠন, নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

অপকারিতা: আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে কাঁচা অবস্থায় বা সিদ্ধ করে গাজর খাবেন না। কারণ, গাজরে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে সুগার বা ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে।

তবে সঠিক পরিমাণে গাজর খেলে হজমশক্তি উন্নত হতে পারে। অন্যদিকে, বেশি পরিমাণে গাজর খেলে গ্যাস, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

জনপ্রিয়

শিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম

গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শীতে রকমারি রঙিন সবজি পাওয়া যায় বাজারে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাজর। এটি সবভাবেই খাওয়া যায়। কেউ রান্না করে তরকারি হিসেবে খেয়ে থাকেন, কেউ সালাদ করে খাদ্যতালিকায় রাখেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি ধুয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। যেভাবেই খাওয়া হোক, এতে অবশ্য উপকার মিলে।

শীতকালীন সবজি গাজরে যেমন উপকারিতা রয়েছে, আবার এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। গাজরের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা সাভারের ডিওএইচএসের প্রায়োরিটি হেলথ্ সার্ভিস বাংলাদেশের পুষ্টিবিদ শারমিন নকশী। এবার গাজর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক তাহলে।

উপকারিতা: গাজর ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ একটি সবজি। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।

গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে, যা হাড় গঠন, নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

অপকারিতা: আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে কাঁচা অবস্থায় বা সিদ্ধ করে গাজর খাবেন না। কারণ, গাজরে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে সুগার বা ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে।

তবে সঠিক পরিমাণে গাজর খেলে হজমশক্তি উন্নত হতে পারে। অন্যদিকে, বেশি পরিমাণে গাজর খেলে গ্যাস, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।