
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
“একটি পাতা দুটি কুঁড়ি” চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা দেশ জুড়ে সুপরিচিত এবং চায়ের জন্য খ্যাত। পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য এ চায়ের রাজধানী। এই উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও চা বাগানের মনোরম দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। তবে সম্প্রতি শ্রীমঙ্গলের সদর ইউপির ভাড়াউড়া চা বাগানের বসবাসকারী ও স্থানীয় চা ব্যবসায়ী মেঘনাথ হাজরার অনন্য উদ্যোগে গড়েছেন কৃষিতে নতুন সম্ভাবনাময় দ্বৈত চাষের ভাবনা।
মেঘনাদ হাজরা নিজস্ব উদ্যোগে ৩ একর জমিতে শখের বশে গড়া শসা খেত তৈরি করেছেন। ৩৬০ শতক জমিতে দ্বৈত চাষাবাদ শুরু করেন। বালু মাটিতে শসা ও আলু চাষে দ্বৈত সম্ভাবনার ফলন। যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। তার এই উদ্যোগ শুধু কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেনি বরং অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে।
মেঘনাথ হাজরার স্বপ্ন আগামীতে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা। তার ভাবনা চিন্তা তার উৎপাদিত শসা ও অন্যান্য ফসল রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মুক্ত ফলন। এই লক্ষে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। যা তার স্বপ্ন পূরণে ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মেঘনাদ হাজরার দ্বৈত ফলনের উদ্যোগে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে উৎসাহের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। তার সাফল্যে স্থানীয় কৃষকরাও অর্গানিক চাষাবাদের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে করে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কৃষি ক্ষেত্রে একটি নতুন সম্ভাবনাময় বিপ্লবের সূচনা হতে পারে।
মেঘনাথ হাজরা বলেন, “আমি চাই আমার উৎপাদিত ফসল সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হোক। এজন্য আমি অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে চাই। উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। তাদের সহযোগিতায় আমার কাজে খুবই উৎসাহিত।”
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, “মেঘনাদ হাজরার উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি এবং আশা করি তার এই উদ্যোগে এলাকার কৃষকদের জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে।”
মেঘনাদ হাজরার এই উদ্যোগ শুধু কৃষি খাতে নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়নের দিকে ও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রচেষ্টা যদি সফল হয়, তবেই শ্রীমঙ্গল উপজেলা শুধু চায়ের জন্য নয়, বরং অর্গানিক কৃষি চাষ পণ্যের জন্যও বিখ্যাত হবে।
এই উদ্যোগে মেঘনাথ হাজরা প্রমাণ করেছেন স্বপ্ন পূরণে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যে কোনো লক্ষ্য পূরণ অর্জন ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তার এই প্রচেষ্টা শ্রীমঙ্গল উপজেলা জুড়ে এ প্রচেষ্টা কৃষি ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আগামী দিনে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এ সাফল্যে।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: 




































