বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে চোরাকরবারিদের দ্বন্দ্ব, সালিশে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের সীমান্তে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জাবেল মিয়া (২৬) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনার পর আটক করেছে।

শনিবার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্বে জাবেলের সঙ্গে নিশ্চিন্তপুরের এক ব্যক্তির কথাকাটাকাটি হলে তিনি একজনকে থাপ্পড় মারে।ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে শনিবার শালিস বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। জাবেলসহ অন্যরা এসময় শালিস বৈঠকে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় গেলে তাদের ওপর পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সুমন মিয়া, শামিম ও জাবেলের নেতৃত্বে কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় অস্ত্রের আঘাতে জাবেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর আহত হন আখতার আলী (৩০), শামিম আহমদ (২৮) ও শিপন মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে আখতারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে চাইনিজ কুড়াল ও দায়ের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুমন মিয়া পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তার বাড়ি উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আমুলী গ্রামে। তারা সংঘবদ্ধ অবৈধ চোরাকারবারী করে আসছিল। বাকি সবার বাড়ি উপজেলার দত্তগ্রাম এলাকায়।

কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করে হচ্ছে চোরাচালান কারবারিরা পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনার সূত্রপাত।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

সীমান্তে চোরাকরবারিদের দ্বন্দ্ব, সালিশে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের সীমান্তে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জাবেল মিয়া (২৬) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনার পর আটক করেছে।

শনিবার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্বে জাবেলের সঙ্গে নিশ্চিন্তপুরের এক ব্যক্তির কথাকাটাকাটি হলে তিনি একজনকে থাপ্পড় মারে।ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে শনিবার শালিস বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। জাবেলসহ অন্যরা এসময় শালিস বৈঠকে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় গেলে তাদের ওপর পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সুমন মিয়া, শামিম ও জাবেলের নেতৃত্বে কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় অস্ত্রের আঘাতে জাবেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর আহত হন আখতার আলী (৩০), শামিম আহমদ (২৮) ও শিপন মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে আখতারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে চাইনিজ কুড়াল ও দায়ের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুমন মিয়া পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তার বাড়ি উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আমুলী গ্রামে। তারা সংঘবদ্ধ অবৈধ চোরাকারবারী করে আসছিল। বাকি সবার বাড়ি উপজেলার দত্তগ্রাম এলাকায়।

কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করে হচ্ছে চোরাচালান কারবারিরা পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনার সূত্রপাত।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করে।