মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলারোয়ায় পুষ্টি সচেতন কমিটি গঠন

আতাউর রহমান,সাতক্ষীরা ব্যুরোঃ

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদে ২১ সদস্য বিশিষ্ট মাল্টি-স্টেকহোল্ডার প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তাসহ এই কমিটির গঠন কার্যক্রমে দাতা সংস্থা আই এফ আই ডি এর কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক নির্দেশনায় এই প্লাটফর্মটি গঠন করা হয়। উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হয়।কমিটির মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে কর্মকর্তারা বলেন, কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদকে নিউট্রিশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সকল সদস্য এবং স্থানীয় জনগণের সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়। এটি সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা (ঘচঅঘ-২) বাস্তবায়নেও সহায়ক হবে। এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবা খাতুন। কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম এনামুল হক। এ কমিটিতে মোট ২১ সদস্য আছেন, এর মধ্যে ৪ জন নারী এবং ১৭ জন পুরুষ সদস্য অন্তর্ভুক্ত। কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভাসহ ইউনিয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,হেলাতলা ইউনিয়নে এ ধরনের কার্যক্রম প্রথম শুরু হয়েছে।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শুভ বৈরাগী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কনসালটেন্ট চেইন নীহার কুমার প্রামানিক। কমিটি গঠনের এই অনুষ্ঠানে তহমিনা আক্তারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। কমিটির সুফল এবং ইউনিয়ন পরিষদের কাজ সম্পর্কে প্রধান অতিথি বলেন, এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ সুষম পুষ্টি পাওয়ার সাথে সাথে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। বিভিন্ন কৃষি ও পুষ্টি বিষয়ক উদ্যোগ এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সাধারণ মানুষের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন গুলো উন্নতির পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং এ ধরনের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির মান উন্নত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অপরদিকে, আয়োজকরা জানিয়েছে যে, কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, এবং বিভিন্ন সুষম পুষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম তাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত হবে, যা সকলের জন্য উপকারী হবে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাগেরহাটে ‎যুবদলের কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

কলারোয়ায় পুষ্টি সচেতন কমিটি গঠন

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

আতাউর রহমান,সাতক্ষীরা ব্যুরোঃ

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদে ২১ সদস্য বিশিষ্ট মাল্টি-স্টেকহোল্ডার প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তাসহ এই কমিটির গঠন কার্যক্রমে দাতা সংস্থা আই এফ আই ডি এর কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক নির্দেশনায় এই প্লাটফর্মটি গঠন করা হয়। উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হয়।কমিটির মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে কর্মকর্তারা বলেন, কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদকে নিউট্রিশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সকল সদস্য এবং স্থানীয় জনগণের সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়। এটি সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা (ঘচঅঘ-২) বাস্তবায়নেও সহায়ক হবে। এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবা খাতুন। কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম এনামুল হক। এ কমিটিতে মোট ২১ সদস্য আছেন, এর মধ্যে ৪ জন নারী এবং ১৭ জন পুরুষ সদস্য অন্তর্ভুক্ত। কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভাসহ ইউনিয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,হেলাতলা ইউনিয়নে এ ধরনের কার্যক্রম প্রথম শুরু হয়েছে।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শুভ বৈরাগী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কনসালটেন্ট চেইন নীহার কুমার প্রামানিক। কমিটি গঠনের এই অনুষ্ঠানে তহমিনা আক্তারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। কমিটির সুফল এবং ইউনিয়ন পরিষদের কাজ সম্পর্কে প্রধান অতিথি বলেন, এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ সুষম পুষ্টি পাওয়ার সাথে সাথে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। বিভিন্ন কৃষি ও পুষ্টি বিষয়ক উদ্যোগ এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সাধারণ মানুষের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন গুলো উন্নতির পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং এ ধরনের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির মান উন্নত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অপরদিকে, আয়োজকরা জানিয়েছে যে, কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, এবং বিভিন্ন সুষম পুষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম তাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত হবে, যা সকলের জন্য উপকারী হবে।