রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনকাটা, ব্যস্ত কারিগর

হাবিবুর রহমান তুষার,হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ

খটখট আওয়াজ আর মাপ অনুযায়ী কাপড় কাটা এবং বিরতিহীনভাবে সেলাই মেশিনের শব্দ জানান দিচ্ছে দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। পবিত্র শব-ই-বরাতের পর থেকেই বাড়তে থাকে তাদের ব্যস্ততা। আর এই ব্যস্ততা চলবে ঈদের চাঁদরাত পর্যন্ত। বলছি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গের মরমী কবি লালন ও বিটিশ বিরোধী মহানায়ক বিপ্লবী বাঘা যতিনের জনপদ ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কথা। পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে বিপনী বস্ত্রবিতান,থান কাপড় দর্জির দোকানগুলোতে। বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনা। পোশাক তৈরিতে দর্জিরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেলাই মেশিনের শব্দ আর কাটাকাটিতে মুখরিত দর্জির দোকানগুলো।

তবে কিছু কিছু ক্রেতার অভিযোগ আগের থেকে একটু দাম বেড়েছে। অপর দিকে লিকু নামের একজন ক্রেতা জানান আমি এই ঈদে পাঞ্জাবী, পায়জামা কিনেছি। হরিণাকুণ্ডু গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, আমি একটি পায়জামা ও পাঞ্জাবী বানাতে দিয়েছি কিন্তু এখনো হাতে পায় নি। দর্জির দোকানে খুব চাপ আছে। তবে ঈদের নামাজ আমি নতুন পোশাক পরেই ঈদ করবো।

উপজেলার শিতলী গ্রামের আক্তার হোসেন একটি শার্ট, প্যান্ট এবং বাসার মেয়েদের জন্য থ্রি পিস ক্রয় করেন। তবে দাম হাতের নাগালেই বলে জানান এই ক্রেতা।

উপজেলার রহিত বস্ত্রবিতান, বিচিত্রা ফ্যাশান হাউস, রুবেল বস্ত্রবিতান, সততা গার্মেন্টস সাইফুল বস্ত্রবিতানসহ বেশিরভাগ বস্ত্রবিতানগুলোতে কাস্টমার বেশিরভাগই পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদার কথা জানান। অপরদিকে থেমে নেই ওটি ইলেকট্রনিক্সের শোরুমেও সেখানে বিশেষ ছাড়ে নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রয়ের কথা জানান শোরুমের মালিক মুস্তাফিজুর রহমান টুটুল।

রহিত বস্ত্রবিতানের মালিক ও বাজার কমিটির ক্যাশিয়ার এবং হরিণাকুণ্ডু নিউ মার্কেটের সেক্রেটারী
ওহিদুল ইসলাম জানান, এবারের ঈদের বাজারে অনেক ক্রেতা আসছে। পাঞ্জাবী, থ্রি পিস, কটন কাপড়, শার্ট,প্যান্ট,বোরখা,গাউন, লেহেঙ্গার চাহিদাও কম নয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি পণের চাহিদা একটু বেশীই।ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিন রাত দোকান খোলা রেখে কাজ করতে হচ্ছে। এখন থেকে অর্ডার আরো বেশি হচ্ছে। রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা ঈদের পূর্বের দিন পর্যন্ত কাজ করে জামা-কাপড় ডেলিভারি করি বলে জানান বিচিত্রা ফ্যাশন টেইলার্সের মালিক জহুরুল ইসলাম।

ঈদ বাজার নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকালে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এম.রউফ খান “সাংবাদিকদের” জানান, ঈদের বাজার নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাত-দিন আলাদা পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। যেসব এলাকায় বেশি সন্দেহজনক সেখানে আমাদের বিশেষ পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর নির্বিঘ্নে উদযাপিত হবে বলেও আশা এই পুলিশ কর্মকর্তার।

জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে ৪,৫০০ পিস ইয়াবা ও চার লাখ টাকাসহ মাদকব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

হরিণাকুণ্ডুতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনকাটা, ব্যস্ত কারিগর

প্রকাশের সময় : ১০:২৭:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

হাবিবুর রহমান তুষার,হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ

খটখট আওয়াজ আর মাপ অনুযায়ী কাপড় কাটা এবং বিরতিহীনভাবে সেলাই মেশিনের শব্দ জানান দিচ্ছে দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। পবিত্র শব-ই-বরাতের পর থেকেই বাড়তে থাকে তাদের ব্যস্ততা। আর এই ব্যস্ততা চলবে ঈদের চাঁদরাত পর্যন্ত। বলছি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গের মরমী কবি লালন ও বিটিশ বিরোধী মহানায়ক বিপ্লবী বাঘা যতিনের জনপদ ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কথা। পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে বিপনী বস্ত্রবিতান,থান কাপড় দর্জির দোকানগুলোতে। বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনা। পোশাক তৈরিতে দর্জিরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেলাই মেশিনের শব্দ আর কাটাকাটিতে মুখরিত দর্জির দোকানগুলো।

তবে কিছু কিছু ক্রেতার অভিযোগ আগের থেকে একটু দাম বেড়েছে। অপর দিকে লিকু নামের একজন ক্রেতা জানান আমি এই ঈদে পাঞ্জাবী, পায়জামা কিনেছি। হরিণাকুণ্ডু গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, আমি একটি পায়জামা ও পাঞ্জাবী বানাতে দিয়েছি কিন্তু এখনো হাতে পায় নি। দর্জির দোকানে খুব চাপ আছে। তবে ঈদের নামাজ আমি নতুন পোশাক পরেই ঈদ করবো।

উপজেলার শিতলী গ্রামের আক্তার হোসেন একটি শার্ট, প্যান্ট এবং বাসার মেয়েদের জন্য থ্রি পিস ক্রয় করেন। তবে দাম হাতের নাগালেই বলে জানান এই ক্রেতা।

উপজেলার রহিত বস্ত্রবিতান, বিচিত্রা ফ্যাশান হাউস, রুবেল বস্ত্রবিতান, সততা গার্মেন্টস সাইফুল বস্ত্রবিতানসহ বেশিরভাগ বস্ত্রবিতানগুলোতে কাস্টমার বেশিরভাগই পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদার কথা জানান। অপরদিকে থেমে নেই ওটি ইলেকট্রনিক্সের শোরুমেও সেখানে বিশেষ ছাড়ে নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রয়ের কথা জানান শোরুমের মালিক মুস্তাফিজুর রহমান টুটুল।

রহিত বস্ত্রবিতানের মালিক ও বাজার কমিটির ক্যাশিয়ার এবং হরিণাকুণ্ডু নিউ মার্কেটের সেক্রেটারী
ওহিদুল ইসলাম জানান, এবারের ঈদের বাজারে অনেক ক্রেতা আসছে। পাঞ্জাবী, থ্রি পিস, কটন কাপড়, শার্ট,প্যান্ট,বোরখা,গাউন, লেহেঙ্গার চাহিদাও কম নয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি পণের চাহিদা একটু বেশীই।ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিন রাত দোকান খোলা রেখে কাজ করতে হচ্ছে। এখন থেকে অর্ডার আরো বেশি হচ্ছে। রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা ঈদের পূর্বের দিন পর্যন্ত কাজ করে জামা-কাপড় ডেলিভারি করি বলে জানান বিচিত্রা ফ্যাশন টেইলার্সের মালিক জহুরুল ইসলাম।

ঈদ বাজার নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকালে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এম.রউফ খান “সাংবাদিকদের” জানান, ঈদের বাজার নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাত-দিন আলাদা পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। যেসব এলাকায় বেশি সন্দেহজনক সেখানে আমাদের বিশেষ পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর নির্বিঘ্নে উদযাপিত হবে বলেও আশা এই পুলিশ কর্মকর্তার।