বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের ধানসাগরে আবারও অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে বনরক্ষীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ

পূর্ব সুন্দরবনের কলমতেজির ভয়াবহ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই নতুন করে ধানসাগর টহল ফাঁড়ির শাপলার বিল এলাকায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বন বিভাগের নজরদারি ড্রোনের মাধ্যমে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। এরপরই বনরক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন।

ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর দাস জানান, টেপারবিল এলাকায় আগুন লাগার স্থান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে, ধানসাগর টহল ফাঁড়ির শাপলার বিলের তেইশেরছিলা এলাকায় নতুন করে আগুন দেখা গেছে।

তিনি আরও জানান, আগুনের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে বনরক্ষীরা দ্রুত ফায়ার লাইন কাটা শুরু করেছেন, যাতে আগুন আর বেশি ছড়িয়ে না পড়ে। আগুন নেভানোর জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সুন্দরবনের এই ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বন বিভাগ ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শুকনো মৌসুমের কারণে বনাঞ্চল অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে পড়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পরিবেশবিদরা সুন্দরবনের বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। বন বিভাগের কর্মকর্তারাও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

জনপ্রিয়

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শতাধিক

সুন্দরবনের ধানসাগরে আবারও অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে বনরক্ষীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০১:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ

পূর্ব সুন্দরবনের কলমতেজির ভয়াবহ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই নতুন করে ধানসাগর টহল ফাঁড়ির শাপলার বিল এলাকায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বন বিভাগের নজরদারি ড্রোনের মাধ্যমে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। এরপরই বনরক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন।

ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর দাস জানান, টেপারবিল এলাকায় আগুন লাগার স্থান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে, ধানসাগর টহল ফাঁড়ির শাপলার বিলের তেইশেরছিলা এলাকায় নতুন করে আগুন দেখা গেছে।

তিনি আরও জানান, আগুনের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে বনরক্ষীরা দ্রুত ফায়ার লাইন কাটা শুরু করেছেন, যাতে আগুন আর বেশি ছড়িয়ে না পড়ে। আগুন নেভানোর জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সুন্দরবনের এই ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বন বিভাগ ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শুকনো মৌসুমের কারণে বনাঞ্চল অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে পড়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পরিবেশবিদরা সুন্দরবনের বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। বন বিভাগের কর্মকর্তারাও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।