মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি : আটক-১১

খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মহানগরীর আরামবাগ এলাকার একটি বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানকালে এ গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ পুলিশ ও নৌবাহিনীর এক সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনাস্থল থেকে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি পিস্তল, একটি কাটা বন্ধুকসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার আজম খান জানান, আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীরা বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকার আবদুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও যৌথবাহিনী। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এতে ৩ পুলিশ ও নৌবাহিনীর এক সদস্যও আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের খুলনা পুলিশ হাসপাতালে এবং আহত নৌবাহিনীর সদস্য খুলনা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ, কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলাম, আরিফুল, ফজলে রাব্বি রাজন, লিয়ন শরীফ, ইমরানুজ্জামান, ইমরান, রিপন, সৈকত রহমান, মহিদুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানীকে গ্রেপ্তার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিস্তল, একটি একনলা শর্টগান, একটি কাটা বন্ধুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৭টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অপারেশন অফিসার এস আই আবদুল হাই বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পেছনে এবং পাশের পুকুরে অনেকগুলো অস্ত্র ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। যেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয়

যশোর বাঘারপাড়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজারো মানুষের দোয়া

খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি : আটক-১১

প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মহানগরীর আরামবাগ এলাকার একটি বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানকালে এ গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ পুলিশ ও নৌবাহিনীর এক সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনাস্থল থেকে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি পিস্তল, একটি কাটা বন্ধুকসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার আজম খান জানান, আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীরা বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকার আবদুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও যৌথবাহিনী। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এতে ৩ পুলিশ ও নৌবাহিনীর এক সদস্যও আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের খুলনা পুলিশ হাসপাতালে এবং আহত নৌবাহিনীর সদস্য খুলনা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ, কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলাম, আরিফুল, ফজলে রাব্বি রাজন, লিয়ন শরীফ, ইমরানুজ্জামান, ইমরান, রিপন, সৈকত রহমান, মহিদুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানীকে গ্রেপ্তার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিস্তল, একটি একনলা শর্টগান, একটি কাটা বন্ধুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৭টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অপারেশন অফিসার এস আই আবদুল হাই বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পেছনে এবং পাশের পুকুরে অনেকগুলো অস্ত্র ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। যেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।