মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্বে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানান এবং উভয় দেশের জন্য উপকারে আসে এমন বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উৎসাহিত ও সহায়তার অঙ্গীকার করেন।

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও এক্সেলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা পিটার হাস এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। দলে ছিলেন মেটা, ভিসা, শেভরন, উবার, মেটলাইফ, মাস্টারকার্ড, বোয়িং ও ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা।

এক্সেলারেট এনার্জি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মার্কিন কোম্পানিগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক ও ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রেখে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।

পিটার হাস বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি রেখেছে, যা দৃঢ়তা, উদ্যোগ ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির ভিত্তিতে নির্মিত। প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার ও সহযোগিতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানিয়েছে, যা বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক বাধাগুলো দূর করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়ন করপোরেশনের (ডিএফসি) সাবেক ডেপুটি সিইও এবং আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। প্রতিনিধিদল বাণিজ্য ভারসাম্য নিরসনে এবং বাংলাদেশে আরও মার্কিন বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ চিহ্নিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেয়।

নিশা বিসওয়াল বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশ যেন চলমান শুল্ক আলোচনায় যথাযথভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে পারে সেটাই কাম্য।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অবদানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জনপ্রিয়

বেগম খালেদা জিয়া আর নেই

শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে নিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্বে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানান এবং উভয় দেশের জন্য উপকারে আসে এমন বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উৎসাহিত ও সহায়তার অঙ্গীকার করেন।

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও এক্সেলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা পিটার হাস এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। দলে ছিলেন মেটা, ভিসা, শেভরন, উবার, মেটলাইফ, মাস্টারকার্ড, বোয়িং ও ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা।

এক্সেলারেট এনার্জি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মার্কিন কোম্পানিগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক ও ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রেখে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।

পিটার হাস বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি রেখেছে, যা দৃঢ়তা, উদ্যোগ ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির ভিত্তিতে নির্মিত। প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার ও সহযোগিতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানিয়েছে, যা বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক বাধাগুলো দূর করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়ন করপোরেশনের (ডিএফসি) সাবেক ডেপুটি সিইও এবং আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। প্রতিনিধিদল বাণিজ্য ভারসাম্য নিরসনে এবং বাংলাদেশে আরও মার্কিন বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ চিহ্নিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেয়।

নিশা বিসওয়াল বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশ যেন চলমান শুল্ক আলোচনায় যথাযথভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে পারে সেটাই কাম্য।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অবদানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।