
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাঁদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। স্থানীয়রা গুরুতর আহত ওই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষন চেষ্টাকারী আব্দুল কুদ্দুস (৬৯) পার্শ্ববর্তী কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১১ টায় ক্ষেতলাল উপজেলার বিনাই গ্রামের হাসানের মেয়ের সাথে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সুত্রে জানা গেছে, ভূক্তভোগী ওই শিশু মেয়েটির বাবা মা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করে। মেয়েটি তার নিজ গ্রামের বিনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে এবং বৃদ্ধ দাদা দাদির কাছে থাকে। এদিকে
অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৬৯) গত ১ বছর যাবৎ বিনাই গ্রামে এসে একটি নির্মানাধীন ফাঁকা বাড়ীতে থেকে ওই এলাকায় কৃষি দিনমজুরের কাজ করতেন। ওই নির্মানাধীন বাড়ীটি ফাঁকা পেয়ে এবং গেটের সামনে শিশু বাচ্চাটিকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে রুমের ভিতরে নিয়ে যান। এমন সময় প্রতিবেশী আব্দুল গুনির স্ত্রী বাচ্চা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে বাড়ীতে টেনে নিয়ে যাওয়ার সেই ঘটনাটি দেখতে পান। পরে তিনি দৌড়ে গিয়ে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। পরে উৎসক জনতা এসে ওই বাড়ীর দরজায় লাথি মারলে ঘাতক ধর্ষক ওই শিশুকে দু’তলার ছাঁদ থেকে নিচে ফেলে দেয়৷
তখন স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস ছাঁদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ঘটনা ওই বাড়ির মালিক প্রবাসী কাবিলের মুঠোফোন হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি প্রবাসে থাকি নিজ গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি। সেটি আমার স্ত্রী দেখভাল করে বাড়িটি এখনো পূর্ণ নির্মাণ করতে পারিনি, আজকে আমার স্ত্রীর মারফত জানতে পারলাম৷ আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করে ওই লোকটিকে বাড়িটি ফাঁকা পেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে অপরাধী যেই হোক আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করছি৷
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বীরেন্দ্র সিং জানান ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে৷ এবিষয়ে আইনি প্রক্রীয়া চলমান আছে।
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ 







































