
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি।।
জামালপুর জেলা বকশীগঞ্জ উপজেলার ইউএনওর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি Uno Bakshigonj Jamalpur আইডি থেকে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল।
১১ এপ্রিলে সকালে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা তার ব্যবহিত ফেসবুক আইডি থেকে পোস্টটি করেন।
যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এনিয়ে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা।
ইউএনও মাসুদ রানা (Uno Bakshigonj Jamalpur ফেসবুক আইডি) ফেসবুক পোস্টে বলেন,
বকশীগঞ্জ ইউএনও এর কাছে শেরপুর জেলার কতিপয় সাংবাদিকের ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও বালু সিণ্ডিকেটের ৪০ লক্ষ টাকার 2.00 বালু দাবি:নেপথ্যে মামলা ও আদালতের আগেই মিডিয়ার রায় ঘোষণা ।
২০২৩ শেরপুর জেলার সেপ্টেম্বর মাসে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে আদালতে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ততকালীন ইউএনও মহোদয়। বালুর জিম্মাদার সংশ্লিষ্ট নায়েব সাহেব।
আমি নালিতাবাড়ীতে যোগদান করি ২০২৪ এর মে মাসে। আদালত মামলা দায়েরের ১ বছর পর রায় দেয় এবং ৪৪ হাজার টাকার (ভ্যাট ব্যতিত) বিনিময়ে বালু ডাককারী গোলাপ মিয়াকে বালু বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বালুর জিম্মাদারি নায়েব ও ওসি সাহেবকে আদেশ দান করে।
আদেশ অনুযায়ী বালুর জিম্মাদার নায়েব সাহেব বালুর ডাককারীকে সমুদয় বালু বুঝিয়ে দেন যার রিসিভ সহ আছে।
তার পোস্টে তিনি আরো বলেন, বালু ডাককারী গোলাপ ১ সপ্তাহ পর এসে জানান যে তিনি এ বালু নিবেন না, তিনি নালিতাবাড়ীর টু পয়েন্ট জিরো জিরো বালু নিবেন যে বালুর দাম ৪০ লক্ষ টাকা অন্যত্র আদালতের ব্যবস্থার কথা জানিয়ে চলে যান। ৪৪ হাজার টাকায় বালু কিনে ৪০ লক্ষ টাকার বালু নিতে চান গোলাপ।
ইতোমধ্যে আমি নালিতাবাড়ী হতে বকশিগঞ্জ উপজেলায় ২২/১২/২৪ এ ইউএনও হিসেবে যোগদান করি।
বকশীগঞ্জ এ যোগদানের ২ মাস পর শেরপুর জেলার কতিপয় সাংবাদিক মনগড়া একটি কাহিনি দিয়ে ৩য় পক্ষের মাধ্যমে আমাকে জানায় যে আমি যেন শেরপুর জেলার কিছু সাংবাদিকদের ১ কোটি টাকা দিয়ে দেই। অন্যত্র তারা মিডিয়া ট্রায়াল করবে। আমি তাদেরকে ১ পয়সাও দেইনি। শুরু হয় বালু সিণ্ডিকেট ও হলুদ সাংবাদিকদের ষড়যন্ত্র।
সম্প্রতি বালু ডাককারী গোলাপ মিয়ার আদালতে মামলা ও মিডিয়ায় ছবিসহ নিউজ দিয়ে আদালতের আগেই জনমনে রায় দিয়ে দিলো হলুদ মিডিয়াগুলো।
উল্লেখ্য যে, সবার জানা থাকা দরকার শেরপুরের কিছু সাংবাদিক রয়েছে হলুদ সাংবাদিক যারা বালু সিণ্ডিকেট ও বালুর ঠিকাদার। তারা পত্রিকা ও টিভির প্রতিনিধি ক্রয় করে এ কাজগুলো করে থাকে।
মূল ধারার কয়েকটি গণমাধ্যমে মূল ঘটনা জানার পরেও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে মূল ঘটনা আড়াল করে, তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারস্থ হলাম।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি।। 







































