বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেলো ২৮ বস্তা টাকা। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রাও। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে দানবাক্স খুলে টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর সর্বশেষ খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। তখন মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। দিনভর গুনে হিসাব মিলে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। শেষ হিসাব অনুযায়ী এবার ৪ মাস ১১ দিন পর খোলা হলো মসজিদের দানবাক্স। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার দানবাক্সগুলো দেরিতে খোলা হয়েছে।

দানবাক্স খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। টাকা গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত মসজিদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। তা ছাড়া দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে ৪০০ লোক টাকা গণনার কাজ করছেন।

রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, টাকাগুলো গুনতে সারা দিন লেগে যেতে পারে। হয়তো সন্ধ্যা বা তারপর জানা যাবে টাকার মোট পরিমাণ। তারা ধারণা করছেন, এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। গতবারের হিসাবের চেয়ে বাড়তে পারে টাকার পরিমাণ।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সমাধিতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

প্রকাশের সময় : ১২:০০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেলো ২৮ বস্তা টাকা। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রাও। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে দানবাক্স খুলে টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর সর্বশেষ খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। তখন মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। দিনভর গুনে হিসাব মিলে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। শেষ হিসাব অনুযায়ী এবার ৪ মাস ১১ দিন পর খোলা হলো মসজিদের দানবাক্স। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার দানবাক্সগুলো দেরিতে খোলা হয়েছে।

দানবাক্স খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। টাকা গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত মসজিদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। তা ছাড়া দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে ৪০০ লোক টাকা গণনার কাজ করছেন।

রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, টাকাগুলো গুনতে সারা দিন লেগে যেতে পারে। হয়তো সন্ধ্যা বা তারপর জানা যাবে টাকার মোট পরিমাণ। তারা ধারণা করছেন, এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। গতবারের হিসাবের চেয়ে বাড়তে পারে টাকার পরিমাণ।