সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে লোকসানে কৃষক

শরণখোলা (বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের কৃষক শিপন মজুমদার এবছর দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন। শুরুতে আশাব্যঞ্জক ফলন দেখা দিলেও, শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ ফলন পাননি তিনি।

তাঁর জমিতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় তিনি সঠিকভাবে সেচ দিতে পারেননি। এসব কারণে তরমুজের গুণগত মান ও উৎপাদন দুই-ই কমে যায়।

শিপনের মতে, তরমুজ চাষে তার খরচ ওঠে এলেও লাভের মুখ দেখা সম্ভব হয়নি। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণে এবারের মৌসুমটি তাঁর জন্য লোকসানেরই সামিল হয়েছে।

তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে যদি কৃষি অফিসের সহায়তা ও আবহাওয়ার অনুকূলতা থাকে, তবে আবারও তিনি তরমুজ চাষ করে লাভবান হতে পারবেন।

শরণখোলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন,শিপন মজুমদারের তরমুজ চাষ সম্পর্কে আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যদি তিনি আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করতেন, তাহলে আমরা তাকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে পারতাম। ভবিষ্যতে যদি তিনি আবার তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমরা তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা সবসময় কৃষকদের পাশে আছি।”

জনপ্রিয়

ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু জানুয়ারিতে

দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে লোকসানে কৃষক

প্রকাশের সময় : ০৪:২০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

শরণখোলা (বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের কৃষক শিপন মজুমদার এবছর দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন। শুরুতে আশাব্যঞ্জক ফলন দেখা দিলেও, শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ ফলন পাননি তিনি।

তাঁর জমিতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় তিনি সঠিকভাবে সেচ দিতে পারেননি। এসব কারণে তরমুজের গুণগত মান ও উৎপাদন দুই-ই কমে যায়।

শিপনের মতে, তরমুজ চাষে তার খরচ ওঠে এলেও লাভের মুখ দেখা সম্ভব হয়নি। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণে এবারের মৌসুমটি তাঁর জন্য লোকসানেরই সামিল হয়েছে।

তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে যদি কৃষি অফিসের সহায়তা ও আবহাওয়ার অনুকূলতা থাকে, তবে আবারও তিনি তরমুজ চাষ করে লাভবান হতে পারবেন।

শরণখোলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন,শিপন মজুমদারের তরমুজ চাষ সম্পর্কে আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যদি তিনি আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করতেন, তাহলে আমরা তাকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে পারতাম। ভবিষ্যতে যদি তিনি আবার তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমরা তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা সবসময় কৃষকদের পাশে আছি।”