বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাউজানে আইন শৃংখলার চরম অবনতি

বোরহান উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজানে আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছে।প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সংঘর্ষ, মারামারি, কোপাকুপি, হামলা, গুলাগুলীর ঘটনা ঘটছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত দেড়টায় উপজেলার বাগোয়ান ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের গরিবুল্লাহ পাড়ার ভান্ডারী কলোনিতে যুবদল কর্মী মোঃ মানিক আবদুল্লাহ (৩৬) কে গুলি করে হত্যা করা হয়। মাথার একাংশ সহ গুলিতে তার কোমর থেকে নিচের অংশ ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাতে খাবারের সময় মূখোশ পড়া সন্ত্রাসীরা তার বসত ঘরে ডুকে তাকে হত্যা করে। তার ভাড়া বাসা ছিল শহরে। যেখানে স্ত্রী সন্তানরা ছিল। কোন অনুষ্টানের কারণে গ্রামে আসলে গ্রামের নিজ বসত ঘরে রাত কাটাতেন তিনি। বিগত সরকারের আমলে প্রবাসে ছিলেন তিনি। ২৪ সালের অক্টোবরে দেশে আসেন মানিক। তার স্ত্রী, ১০বছর বয়সী এক ছেলে ও ৫ বছর বয়সি এক মেয়ে রয়েছে।
রাউজানে একের পর এক খুনের ঘটনায় সাধারন মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। চলতি মাসের ২ তারিখ ঈদের পরদিন খুন হন উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে নুরুল আলম বকুল নামের ৪৪ বছর বয়সি এক প্রকৌশলী। দিন দুপুরে তার আপন মা ও সৎ ভায়েরা মিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।পুলিশ এ মামলায় কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মার্চের ১৫ তারিখ হলদিয়া ইউপির আমিরহাট বাজারে তারাবিহ নামাজের পর দলীয় কর্মীদের হাতে খুন হন যুবদল কর্মী ৩৬ বছরের কমর উদ্দিন জিতু। সে থাকতো সৌদি আরবে। তার হত্যা মামলারও কোন অগ্রগতি নাই।
২৪ সালের ২৯ আগস্ট রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালীর শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল মান্নান (২৭) কে রাউজানে এনে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
 একই বছরেরই ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বাগানবাড়ি থেকে এক কৃষি শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর নাম মুহাম্মদ ইউসুফ মিয়া (৫৫)।
এরপর এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাটে সন্ত্রাসীরা মুহাম্মদ হাসান (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করে অটোরিক্সায় লাশ ফেলে যায়।
এর আগে ২৪ জানুয়ারী জুমার নামাজে যাবার পথে দিবালোকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে। সর্বশেষ শনিবার মধ্যে রাতে খুনের শিকার হন মানিক।
সূত্র বলছে, মামলা-হামলার শিকার হয়ে গত আওয়ামী সরকারের ১৬ বছরে এলাকায় যেতে পারেননি রাউজান উপজেলা বিএনপির বেশির ভাগ নেতা-কর্মী। জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর এলাকায় ফিরতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু এলাকায় ফিরেই নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন উত্তেজিত জনতা। এর পর থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের কার্যক্রম কমে গেলে আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটি। বর্তমানে ওই ফাঁড়িতে পুলিশ কাজ করেছেন।
স্থানিয় মানুষজন জানান, পুলিশ প্রশাসন দিবা রাত্রি কাজ করলেও অপরাধ দমন করা যাচ্ছেনা। চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুই কেন্দ্রিয় বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার অনুসারীদের মাঝে সংঘাত, সংঘর্ষ লেগেই আছে। একের পর এক খুনের ঘটনায় দলীয় নেতারাও আতংকিত।
শনিবারের ঘটনায় কারা জড়িত নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তদন্তে নেমেছে। স্থানীয় সূত্র বলেছেন চাঁদাবাজি, বালুমহাল দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এ বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাড়ে ৯ মাসে রাউজানে সংঘর্ষ, হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে অন্তত বহুবার। এর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ ঘটেছে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে, আহত হয়েছেন কয়েকশোজন।
গত মাহে রমজানে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে ৭টি মোটর সাইকেলে আগুণ দেয়ার মত ঘটনা ঘটায় বিএনপির দুই গ্রুপের অনুসারিদের মধ্যে। এক গ্রপের নেতা কর্মিরা অন্য গ্রুপের ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল ভাংচুর করলে পাল্টা পাল্টি এ ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়া কদলপুর, উরকিরচর, পূর্ব গুজরা, পাহাড়তলী, রাউজান সদর, পশ্চিম গুজরা, হলদিয়া, ডাবুয়া ইউনিয়নেও সংঘর্ষ-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বিএনপি নেতা থেকে শুরু করে যুবদল, ছাত্রদল ও অন্য অঙ্গসংগঠনের অন্তত ৬০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪ শতাধিক।
গত ১০ দিন আগে হলদিয়া চিন্নি বটতল এলাকায় দু গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার সুলতানপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধুকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ।
প্রতিদিন রাউজানে ছোট বড় অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। পুলিশ কোন সুরহা করতে পারছেনা। থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মার্চের মধ্যেসময়ে রাউজানে যোগদানের পর থেকে বিগত ২ মাসে অন্তত ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। হলদিয়ায় ২টি সর্বশেষ শনিবার রাতে বাগোয়ানে যুবদল কর্মী খুনের শিকার হন।
স্থানিয় বিজ্ঞ মহল বলেছেন চাঁদাবাজি, বালুমহাল দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে রাউজানের আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনে আরো জনবল ও টহল জোড়দার করা নাগেলে আইনশৃংখলার উন্নতি সহজে হবেনা বলে জানান বেশ কয়েকটি সূত্র।
জনপ্রিয়

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শতাধিক

রাউজানে আইন শৃংখলার চরম অবনতি

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
বোরহান উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজানে আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছে।প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সংঘর্ষ, মারামারি, কোপাকুপি, হামলা, গুলাগুলীর ঘটনা ঘটছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত দেড়টায় উপজেলার বাগোয়ান ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের গরিবুল্লাহ পাড়ার ভান্ডারী কলোনিতে যুবদল কর্মী মোঃ মানিক আবদুল্লাহ (৩৬) কে গুলি করে হত্যা করা হয়। মাথার একাংশ সহ গুলিতে তার কোমর থেকে নিচের অংশ ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাতে খাবারের সময় মূখোশ পড়া সন্ত্রাসীরা তার বসত ঘরে ডুকে তাকে হত্যা করে। তার ভাড়া বাসা ছিল শহরে। যেখানে স্ত্রী সন্তানরা ছিল। কোন অনুষ্টানের কারণে গ্রামে আসলে গ্রামের নিজ বসত ঘরে রাত কাটাতেন তিনি। বিগত সরকারের আমলে প্রবাসে ছিলেন তিনি। ২৪ সালের অক্টোবরে দেশে আসেন মানিক। তার স্ত্রী, ১০বছর বয়সী এক ছেলে ও ৫ বছর বয়সি এক মেয়ে রয়েছে।
রাউজানে একের পর এক খুনের ঘটনায় সাধারন মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। চলতি মাসের ২ তারিখ ঈদের পরদিন খুন হন উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে নুরুল আলম বকুল নামের ৪৪ বছর বয়সি এক প্রকৌশলী। দিন দুপুরে তার আপন মা ও সৎ ভায়েরা মিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।পুলিশ এ মামলায় কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মার্চের ১৫ তারিখ হলদিয়া ইউপির আমিরহাট বাজারে তারাবিহ নামাজের পর দলীয় কর্মীদের হাতে খুন হন যুবদল কর্মী ৩৬ বছরের কমর উদ্দিন জিতু। সে থাকতো সৌদি আরবে। তার হত্যা মামলারও কোন অগ্রগতি নাই।
২৪ সালের ২৯ আগস্ট রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালীর শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল মান্নান (২৭) কে রাউজানে এনে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
 একই বছরেরই ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বাগানবাড়ি থেকে এক কৃষি শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর নাম মুহাম্মদ ইউসুফ মিয়া (৫৫)।
এরপর এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাটে সন্ত্রাসীরা মুহাম্মদ হাসান (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করে অটোরিক্সায় লাশ ফেলে যায়।
এর আগে ২৪ জানুয়ারী জুমার নামাজে যাবার পথে দিবালোকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে। সর্বশেষ শনিবার মধ্যে রাতে খুনের শিকার হন মানিক।
সূত্র বলছে, মামলা-হামলার শিকার হয়ে গত আওয়ামী সরকারের ১৬ বছরে এলাকায় যেতে পারেননি রাউজান উপজেলা বিএনপির বেশির ভাগ নেতা-কর্মী। জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর এলাকায় ফিরতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু এলাকায় ফিরেই নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন উত্তেজিত জনতা। এর পর থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের কার্যক্রম কমে গেলে আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটি। বর্তমানে ওই ফাঁড়িতে পুলিশ কাজ করেছেন।
স্থানিয় মানুষজন জানান, পুলিশ প্রশাসন দিবা রাত্রি কাজ করলেও অপরাধ দমন করা যাচ্ছেনা। চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুই কেন্দ্রিয় বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার অনুসারীদের মাঝে সংঘাত, সংঘর্ষ লেগেই আছে। একের পর এক খুনের ঘটনায় দলীয় নেতারাও আতংকিত।
শনিবারের ঘটনায় কারা জড়িত নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তদন্তে নেমেছে। স্থানীয় সূত্র বলেছেন চাঁদাবাজি, বালুমহাল দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এ বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাড়ে ৯ মাসে রাউজানে সংঘর্ষ, হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে অন্তত বহুবার। এর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ ঘটেছে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে, আহত হয়েছেন কয়েকশোজন।
গত মাহে রমজানে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে ৭টি মোটর সাইকেলে আগুণ দেয়ার মত ঘটনা ঘটায় বিএনপির দুই গ্রুপের অনুসারিদের মধ্যে। এক গ্রপের নেতা কর্মিরা অন্য গ্রুপের ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল ভাংচুর করলে পাল্টা পাল্টি এ ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়া কদলপুর, উরকিরচর, পূর্ব গুজরা, পাহাড়তলী, রাউজান সদর, পশ্চিম গুজরা, হলদিয়া, ডাবুয়া ইউনিয়নেও সংঘর্ষ-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বিএনপি নেতা থেকে শুরু করে যুবদল, ছাত্রদল ও অন্য অঙ্গসংগঠনের অন্তত ৬০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪ শতাধিক।
গত ১০ দিন আগে হলদিয়া চিন্নি বটতল এলাকায় দু গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার সুলতানপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধুকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ।
প্রতিদিন রাউজানে ছোট বড় অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। পুলিশ কোন সুরহা করতে পারছেনা। থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মার্চের মধ্যেসময়ে রাউজানে যোগদানের পর থেকে বিগত ২ মাসে অন্তত ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। হলদিয়ায় ২টি সর্বশেষ শনিবার রাতে বাগোয়ানে যুবদল কর্মী খুনের শিকার হন।
স্থানিয় বিজ্ঞ মহল বলেছেন চাঁদাবাজি, বালুমহাল দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে রাউজানের আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনে আরো জনবল ও টহল জোড়দার করা নাগেলে আইনশৃংখলার উন্নতি সহজে হবেনা বলে জানান বেশ কয়েকটি সূত্র।