বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোদে মাথা ঘুরলে কী করবেন?

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র গরমে সবারই হাঁসফাঁস শুরু হয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকতে ভালো লাগে সবার। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য রকমারি কোমল পানীয় পান করা হয়। খাদ্যতালিকায়ও নজর রাখা হয়। কিন্তু বাসা-বাড়ির বাইরে বের হলে অনেক সময়ই তীব্র গরমে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও শারীরিক অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

এ অবস্থায় কেউ কেউ মাথা ঘুরে পড়েও যায়। কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায় কী? চিকিৎসকদের মতে, তীব্র গরমে দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কারও কারও বমি ভাব, শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হয়। এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল।

এ চিকিৎসক বলেন, অধিক তাপমাত্রা ও তীব্র রোদে বের হলে এবং দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে শরীর খারাপ হতে পারে। ঘাম থেকে শরীর পানিশূন্য হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি বোধ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু করণীয় মেনে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব।

ডা. রুদ্রজিতের মতে―রোদে যাওয়ার আগে এক-দুই গ্লাস পানি পান করে বের হতে হবে। এতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি অনেকটা কমবে। রোদে যাওয়ার পর অসুস্থ হলে ছায়াযুক্ত কোথাও বিশ্রাম নিতে হবে। রোদে থাকা যাবে না। মাথা ঘোরা শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়তে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। তাদের কখনো দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘোরা শুরু হলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পানি পান করতে হবে। রোদে যাওয়ার আগেই পানির বোতল নিয়ে বের হওয়া ভালো। শরীর কোনোরকম অনুভব করলেই পানি পান করুন। প্রয়োজনে লবণ-চিনির পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট পানি পান করতে পারেন। সম্ভব হলে চোখে-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।

গ্রীষ্মকালে ব্লাড প্রেশারের রোগীদের একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয়। এ সময় তারা রোদে বের হলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। আবার কমতেও পারে। এ জন্য মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের রোদে বের হওয়ার আগে মাইগ্রেনের ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।

জনপ্রিয়

বিমানবন্দর, ৩০০ ফিটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন

রোদে মাথা ঘুরলে কী করবেন?

প্রকাশের সময় : ০১:০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

তীব্র গরমে সবারই হাঁসফাঁস শুরু হয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকতে ভালো লাগে সবার। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য রকমারি কোমল পানীয় পান করা হয়। খাদ্যতালিকায়ও নজর রাখা হয়। কিন্তু বাসা-বাড়ির বাইরে বের হলে অনেক সময়ই তীব্র গরমে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও শারীরিক অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

এ অবস্থায় কেউ কেউ মাথা ঘুরে পড়েও যায়। কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায় কী? চিকিৎসকদের মতে, তীব্র গরমে দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কারও কারও বমি ভাব, শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হয়। এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল।

এ চিকিৎসক বলেন, অধিক তাপমাত্রা ও তীব্র রোদে বের হলে এবং দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে শরীর খারাপ হতে পারে। ঘাম থেকে শরীর পানিশূন্য হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি বোধ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু করণীয় মেনে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব।

ডা. রুদ্রজিতের মতে―রোদে যাওয়ার আগে এক-দুই গ্লাস পানি পান করে বের হতে হবে। এতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি অনেকটা কমবে। রোদে যাওয়ার পর অসুস্থ হলে ছায়াযুক্ত কোথাও বিশ্রাম নিতে হবে। রোদে থাকা যাবে না। মাথা ঘোরা শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়তে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। তাদের কখনো দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘোরা শুরু হলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পানি পান করতে হবে। রোদে যাওয়ার আগেই পানির বোতল নিয়ে বের হওয়া ভালো। শরীর কোনোরকম অনুভব করলেই পানি পান করুন। প্রয়োজনে লবণ-চিনির পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট পানি পান করতে পারেন। সম্ভব হলে চোখে-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।

গ্রীষ্মকালে ব্লাড প্রেশারের রোগীদের একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয়। এ সময় তারা রোদে বের হলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। আবার কমতেও পারে। এ জন্য মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের রোদে বের হওয়ার আগে মাইগ্রেনের ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।